বুধবার, ১১ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৮শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এবার কোরবানি হয়েছে ৯১ লাখ পশু, অবিক্রীত ৩৩ লাখ *** ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকে যোগ দিতে আজ লন্ডন যাচ্ছেন আমীর খসরু *** ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনিশ্চিত *** পাকিস্তানকে যে কারণে ‘দুধ পাহারা দেওয়া বিড়াল’ বলল ভারত *** জ্বালিয়ে মারছে এক ব্যক্তি—অভিযোগ নিয়ে আদালতে টেইলর সুইফট *** ‘নিখোঁজ’ বলে আলোচিত ইউটিউবার সাব্বির দুই মাস আগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার, জানাল পুলিশ *** লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল, হয়েছে বিক্ষোভও *** শমিতের অভিষেক, শুরুর একাদশে নেই জামাল *** গ্রেটাকে ফ্রান্সগামী বিমানে উঠিয়ে দিল ইসরায়েল *** বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটিই শেষ ম্যাচ হয়ে রইল উইন্ডিজ ক্রিকেটারের

ষড়যন্ত্র উতরে বেঁচে গেলেও শেষ পর্যন্ত স্বাধীন দেশে হত্যা

সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ১২:৫৮ অপরাহ্ন, ৮ই আগস্ট ২০২৩

#

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

আদিত্য মামুন

পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগার থেকে ধানমণ্ডি ৩২। সবখানেই মুজিবকে হত্যা করতে চেয়েছিল পাক-মার্কিন এজেন্ট। জেলখানায় কয়েদি লেলিয়ে হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গেলেও ধানমণ্ডি হয়েছে রক্তাক্ত। খুনি আর তাদের পরামর্শদাতা এখনও সোচ্চার নানান ইস্যুতে। 

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের আগে ও পরে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে বরাবরই ছিল মার্কিন চাপ। ভূ-রাজনীতির স্বার্থে মার্কিন-পাকিস্তান মিত্রতায় হেনরি কিসিঞ্জার চ্যালেঞ্জ মেনেছিলেন অবিসংবাদিত মুজিবকে। যে কারণে ২৫ মার্চ শেখ মুজিবকে গ্রেফতারের পর থেকেই তাঁকে অধিকতর নজরদারিতে রেখেছিল আমেরিকা।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, “কিসিঞ্জারের ক্ষমতার দাপট যখন সারাবিশ্বে তখন শেখ মুজিব তার কথা রাখেননি। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন মুজিব। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি কিসিঞ্জার।”

লায়ালপুর আর মিয়ানওয়ালি জেলে একাধিকবার হত্যার চেষ্টাও করেছে পাক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার অনুগতরা। ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর কবরও খুঁড়েছিল তারা। সাধারণ মানুষকে উস্কে দিতে ভাড়াটে সাংবাদিক আমির তাহিরিকে দিয়ে ইরানের কায়হান ইন্টারন্যাশনাল পত্রিকায় মুজিব সম্পর্কে বিতর্কিত প্রতিবেদনও করেছিল পাকিস্তান সরকার।

এতো ষড়যন্ত্র উতরে বেঁচে গেলেও শেষ পর্যন্ত স্বাধীন দেশের খুনিরা হত্যা করে জাতির জনককে। 

২০০৮ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। সার্বজনীন দাবির প্রেক্ষিতে ক’জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও আত্মস্বীকৃত খুনিরা দিব্যি বাস করছে আমেরিকা আর কানাডায়। মানবাধিকারের কথা বলে দেশ দুটি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়ও দিয়ে রেখেছে।

আরো পড়ুন: বঙ্গবন্ধু রয়েছেন আমাদের নিশ্বাসে-প্রশ্বাসে

সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির বলেন, “খুনিদের একজন কানাডায় ও আরেকজন আমেরিকায় রয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে, বিচার ব্যবস্থার অনুসারে তাদেরকে আমাদের দেশে পাঠাও। 

তখন কয়েকজন বলেছিল, যারা যে দেশে ক্যাপিটাল পানিসমেন্টে আছে সে দেশে আমরা কোনো কনভিক্টকে পাঠাবো না। কিন্তু তোমরা যে লাখ লাখ লোককে খুন করেছো আফগানিস্তান-ইরাক-সিরিয়ায় ও বিভিন্ন জায়গায়। তাদেরকে কি কোর্টের অনুমতি নিয়ে করেছিলে।”

আমেরিকা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন তোলে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, শেখ হাসিনার অধিকতর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতেই তারা একের পর এক এমন কর্মকাণ্ড করছে। 

মোহাম্মদ জমির বলেন, “যখন ন্যান্সি ফেলোসিস স্পিকারের চেয়ারের উপরে উঠে প্রসাব করলো, ওনার ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে গেলো তখন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কি কিছু বলেছিল। কিছুই বলেনি, চুপচাপ ছিল। কেন চুপচাপ ছিল। এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্প মানছে না যে সে নির্বাচনে হেরেছিল।”

এসি/ আই. কে. জে/ 



স্বাধীন দেশ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন