বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতে ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর নতুন অস্ত্র এআই: গবেষণা *** মিরপুরেই শেষ ম্যাচ খেলতে চান সাকিব *** শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে, জানা যাবে ১৩ই নভেম্বর *** হত্যা মামলায় অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ দুজনকে অব্যাহতির সুপারিশ *** জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রীর ছেলে যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে *** শনিবারের ক্লাস নিয়ে বিভ্রান্তি, স্পষ্ট করলেন শিক্ষক নেতা আজিজী *** বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ছে, দামের উত্তাপ কমছে *** ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানালেন বিশ্বখ্যাত ইহুদিরা *** আরব সাগরে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের মাদক উদ্ধার পাকিস্তান নৌবাহিনীর *** সরকারে থাকা ‘দলীয় উপদেষ্টা’ আসলে কারা

যথেচ্ছ ব্যবহারে কার্যকারিতা হারাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১০:২৩ অপরাহ্ন, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ড্রাগ এমন এক ধরনের ওষুধ যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এ ওষুধ মানুষ বা প্রাণীদেহে প্রয়োগ করলে এটি শরীরের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে বা এর বংশবিস্তার রোধের মাধ্যমে রোগ নিরাময় করে। তবে অতিরিক্ত, অপর্যাপ্ত বা অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারের ফলে ব্যাকটেরিয়া হয়ে উঠছে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। যথেচ্ছ ব্যবহারে কার্যকারিতা হারাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক।

গত ৩০ বছরেও সংক্রামক রোগের নতুন মলিকুলস অফ অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার হয়নি। যে অ্যান্টিবায়োটিকগুলো আছে শুধু সেগুলোর জেনারেশনকে এক্সটেনশন করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে মানবদেহের ব্যাকটেরিয়ায় এমন জিনের অস্তিত্ব মিলছে যা সংক্রামক রোগের চিকিৎসায় শতভাগ অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। তার মানে সেসব রোগীর শরীরে সংক্রামক ব্যাধি নিরাময়ে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের প্রয়োগ কোনো কাজে আসবে না।

সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের (এনআইএলএমসি) ইনফেকশাস ডিজিজ বা সংক্রমিত রোগে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কার্যকরিতা শীর্ষক এক গবেষণার আংশিক ফলাফল প্রকাশ করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, মানুষের শরীরে শনাক্ত হওয়া ব্যাকটেরিয়ায় এমন জিন মিউটেশন (অনুজীবাংশ পরিবর্তন) হয়েছে যেগুলো বাংলাদেশে এর আগে পাওয়া যায়নি। ব্যাকটেরিয়ায় এ পরিবর্তিত জিনগুলো অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। এসব জিন বিভিন্ন উপায়ে বা কৌশলে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। এতে করে এসব ব্যাকটেরিয়া যেসব অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে সেগুলো আর তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারছে না।

এনআইএলএমসির গবেষণা সংশ্লিষ্টদের তথ্যে জানা যায়, সম্প্রতি সরকারি আটটি মেডিকেল কলেজ ও চারটি বিশেষায়িত ইনস্টিটিউিট হাসপাতাল থেকে সংগৃহীত নমুনার ওপর গবেষণা করে এমন ভয়ঙ্কর তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণাটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্ল্যানিং মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্স (পিএমআর) শাখার উদ্যোগে ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত আট মাস ধরে পরিচালিত হয়। গবেষণার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০ লাখ টাকা অর্থায়ন করে। থার্মোফিশার নামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশি শাখা ওএমসি এতে সহায়তা করেছে। দেশে অক্টোবরের শেষ দিকে জাতীয়ভাবে এর ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

গবেষণাটির নেতৃত্বে ছিলেন- এনআইএলএমসির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম। আরও যুক্ত ছিলেন- একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক ডা. সানজিদা এ্যরিনা, সহকারী অধ্যাপক ডা. নাজনীন তারানা, ডা. বায়েজিদ বিন মনির এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ ইউসুফ।

 আই. কে. জে/

ব্যাকটেরিয়া

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250