শনিবার, ১১ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** গাজা উপত্যকায় উল্লাস, বেদনাকে সঙ্গী করে ঘরে ফেরা উদ্‌যাপন *** সব উপদেষ্টাই তো বিদেশি নাগরিক: রুমিন ফারহানা *** ইরানের ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কবলে বাংলাদেশমুখী এলপিজির জাহাজ *** চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে গুজব, যা বললেন ছেলে জয় *** ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীরা সব সময় ধর্ম পালনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা *** বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন *** ‘কারা লুঙ্গি তুলে চেক করে মানুষ মেরেছে, তা সবারই জানা’ *** শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়া মাচাদোকে অভিনন্দন জানালেন ড. ইউনূস *** শনিবার ভোরে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম *** ইসরায়েল থেকে মুক্ত শহিদুল আলম এখন তুরস্কে

রোয়ান থেকে যেভাবে হলেন কিংবদন্তি মিস্টার বিন

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৫৫ অপরাহ্ন, ১৭ই জানুয়ারী ২০২৪

#

যারা হাসাতে থাকেন আমাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য তাদের জীবনটা আসলে কেমন হয়? ঠিক এমনই এক মানুষের কথা হচ্ছে আজকে। সেই মানুষটি আর কেউ নন, আমাদের সবার পরিচিত মিস্টার বিন। যার আসল নাম রোয়ান সেবাস্টিয়ান অ্যাটকিনসন। ডাকনাম ছিল রো। যিনি একাধারে একজন ব্রিটিশ লেখক, অভিনেতা এবং কমেডিয়ান।

১৯৫৫ সালের ৬ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের ডারহাম বিভাগের কনসেটে জন্মগ্রহণ করেন রোয়ান। ছোটবেলা থেকেই রোয়ান ভীষণ হাসিখুশি একজন মানুষ। তবে তিনি খুব একটা কথা বলতেন না। ডারহামের ক্যাথেড্রাল স্কুলেই তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু। সেখানেই একটি ফিল্ম সোসাইটি ছিল।

ফিল্ম সোসাইটির প্রধান বিষয়ই ছিল হাসির সিনেমা বানানো। আর সেই ছিল তার সুযোগ। আগ্রহ জন্মায় অভিনয়ের প্রতি। শুরু হয় মঞ্চের ব্যাকস্টেজে কাজ করা। কিন্তু বাধ সাধে তোতলামি। যার ফলে বার বার অভিনয়ের সুযোগ হারিয়েছিলেন মি. বিন। এরকম মুহূর্তে চরম হতাশা তাকে গ্রাস করলেও তিনি অভিনয় ছাড়েননি।

মিস্টার বিন পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। অক্সফোর্ডের কুইন্স কলেজে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে করেন স্নাতকোত্তর। কলেজে পড়ার সময় থেকেই অভিনয়ের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেছিলেন রোয়ান। ভাষা নিয়ে ছিল তার প্রবল সমস্যা, তাই তিনি বেছে নিয়েছিলেন নির্বাক অভিনয়। তার নাম মিস্টার বিন বলে জানে না এমন মানুষ মনে হয় গ্রহে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

তিনি নাকি ছোটবেলা থেকেই কথা বলতে পছন্দ করতেন না। অথচ ভালোবাসতেন অভিনয়! পছন্দ করতেন কমেডি ছবি। এই ব্রিটিশ অভিনেতা যে একসময় কিংবদন্তি হয়ে উঠবেন বিনোদন দুনিয়ায়, তা বোধহয় তিনি নিজেও জানতেন না।

ছোটপর্দায় জন্য শ্যুটিং করেছিলেন মাত্র ১৪টা এপিসোড... আর সেগুলোই বছরের পর বছর ধরে রসদ জুগিয়েছে হাসার। হয়ত বাঁচারও। বছরের পর বছর ধরে যদি হাসি ফুটিয়ে এসেছেন আট থেকে আশির মুখে, অনায়াসে পেরিয়ে এসেছেন যাবতীয় ভাষা-সমস্যা।

কলেজে পড়ার সময় থেকেই অভিনয়ের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেছিলেন রোয়ান। তার ডাক নাম ছিল রো। তবে ভাষা সমস্যা ছিল তার। একে তো তিনি কথা বলতে পছন্দ করতেন না একেবারেই। দ্বিতীয়ত, একাধিক ভাষা জানতেন না মিস্টার বিন। সেই কারণেই প্রথমবার অভিনয় করার সময় তিনি বেছে নিয়েছিলেন সাইলেন্ট কমেডি বা নির্বাক কমেডি।

একদিকে কথা বলতে পছন্দ না করা, অন্যদিকে ভাষা সমস্যা.. এই দুয়ে মিলেই রো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি নির্বাক কমেডি দর্শকদের উপহার দিতে চান। বাকিটা বলবে সময়। দর্শকদের পছন্দ হলে শো চলবে, না হলে রো ফিরে যাবেন নিজের কাজে। তবে মাত্র ১৪টা এপিসোড যে এতটা জনপ্রিয়তা দেবে তাকে। তা জানতেন না স্বয়ং রোয়ান অ্যাটকিনসনও।

আরো পড়ুন: রক্ত দিয়ে ‘চিঠি’ লিখেছিলেন আমির খান

একসময় ছোটপর্দা দেখারও সুযোগ পেতেন না রোয়ান অ্যাটকিনসন। স্কুলে দেখা চার্লি চ্যাপলিন বা এমন অভিনেতাদের অভিনয় নকল করতেন তিনি। মিস্টার বিনের ১৪টা এপিসোড এখনও পর্যন্ত ২০০টারও বেশি দেশে দেখানো হয়েছে।

যেহেতু মিস্টার বিনে ভাষা নয়, মূলত প্রাধান্য পায় শারীরিক কমেডি, তাই বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করারও প্রয়োজন হয়নি। মিস্টার বিন শুরু করার আগে কথা হয়েছিল, এই চরিত্রের নাম দেওয়া হবে কোনও একটি সবজির নাম অনুযায়ী। তবে শেষমেষ নাম হয় মিস্টার বিন। 

ছোটপর্দার জন্য মাত্র ১৪টা এপিসোড হলেও, জনপ্রিয়তাকে মাথায় রেখে মিস্টার বিনকে নিয়ে বড়পর্দাতেও তৈরি হয়েছে ছবি। তা বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি, একাধিক বই লিখেছেন রোয়ান অ্যাটকিনসন, করেছেন পরিচালনাও। অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। সবাইকে নিয়ে সুখেই আছেন তিনি।

এসি/ আই. কে. জে/

মিস্টার বিন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250