ছবি: সংগৃহীত
ছয় বছর ধরে মিলির জীবনে একটিই অপেক্ষা। স্বামী জাহিদের ফিরে আসা। প্রবাসে গিয়ে নিখোঁজ জাহিদ যেন সময়ের অন্ধকারে হারিয়ে গেছে। পরিবারের সবাই মেনে নিয়েছে, জাহিদ আর নেই। কিন্তু মিলি মানতে পারেনি। প্রতিটি ভোরে, প্রতিটি রাতের শেষে সে এখনও শুনতে চায় জাহিদের ফিরে আসার পদধ্বনি। এই দীর্ঘ ছয় বছরে মিলির জীবনের একমাত্র ভরসা তার মেয়ে টিয়া।
জন্মের আগেই বাবাকে হারানো টিয়া জানেই না জাহিদের কথা। ছোট চাচা শুভকেই সে বাবা বলে জানে, আর শুভও পিতৃস্নেহ দিয়ে বড় করছে টিয়াকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে মিলির বাবা চান মেয়েটি নতুন করে জীবন শুরু করুক। তিনি বোঝাতে থাকেন জাহিদের মাকে মিলির জীবন থেমে থাকা ঠিক নয়। অনেক তর্ক-বিতর্ক শেষে জাহিদের মা আবেগে এমন এক প্রস্তাব দেন, যা সবাইকে স্তব্ধ করে দেয়। মিলির বিয়ে হোক শুভর সঙ্গে!
সমস্যা হলো, শুভ তো ছোটবেলা থেকেই প্রতিশ্রুত ছিল চাচাতো বোন মিমির সঙ্গে। ফলে পরিবারের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব, ভুল বোঝাবুঝি ও অশান্তি। কিন্তু ছোট্ট টিয়ার ভবিষ্যতের কথা ভেবে শুভ ও মিলি শেষ পর্যন্ত রাজি হয় এই বিয়েতে। তবু তাদের সম্পর্ক শুধুই সামাজিক বাধ্যবাধকতা।
শুভ কখনও ভাবেনি বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে তার সংসার হবে, আর মিলিও শুভকে সবসময় ছোট ভাইয়ের মতোই দেখেছে। হয়তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা একে অপরকে মেনে নিত। যদি না ভাগ্য আবার অন্যরকম খেলা না খেলত।
বিয়ের মাত্র দুই দিন পরেই ফিরে আসে জাহিদ! ছয় বছর পর পরিবারের দরজায় দাঁড়ানো জাহিদকে দেখে সবাই নির্বাক। জাহিদের মা অপরাধবোধে কাঁপতে থাকে, শুভ লজ্জায় চোখ তুলতে পারে না, আর মিলি শুধু কাঁদতে থাকে। চোখের জলেই ধুয়ে যায় ছয় বছরের সব অপেক্ষা, সব প্রার্থনা।
এই আবেগঘন গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘সুখ পাখি’। রচনা ও পরিচালনা করেছেন বিপ্লব হায়দার। অভিনয়ে রয়েছেন অ্যালেন শুভ্র, মুনতাহা, নাদিয়া আহমেদ, মুকিত জাকারিয়া, মীম চৌধুরী, মাসুম বাশার, মিলি বাশার, ফারুক আহমেদ ও শারমিন শর্মী প্রমুখ।
নাটকটির আজ শুক্রবার (১০ই অক্টোবর) থেকে প্রচার শুরু হচ্ছে আরটিভি-তে, প্রতি শুক্র, শনি ও রোববার রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে।
খবরটি শেয়ার করুন