ছবি: সংগৃহীত
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মতো দলগুলো। আপাতত ক্লাবের বিরতিতে লাতিন আমেরিকার বাছাইপর্বে দুটি করে ম্যাচ খেলবে দলগুলো, যেখানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা খেলবে ইকুয়েডর ও বলিভিয়ার বিপক্ষে। আর ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ বলিভিয়া ও পেরু।
জাতীয় দলের বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে শিগগির আর্জেন্টিনা দলে যোগ দেবেন লিওনেল মেসি। আর বিশ্বকাপের পর এই প্রথম ব্রাজিলের স্কোয়াডে জায়গা হয়েছে চোট কাটিয়ে ফেরা নেইমারের। জাতীয় দলের হয়ে অপেক্ষমাণ এই দুই ম্যাচে আলাদা দুটি রেকর্ড নিজের করে নিতে পারেন মেসি-নেইমার। মেসির সামনে রেকর্ডটি হচ্ছে লাতিন আমেরিকার বাছাইয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া এবং নেইমারের রেকর্ডটি হচ্ছে ব্রাজিলের হয়ে গোলে এককভাবে শীর্ষে ওঠা।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল আছে লুইস সুয়ারেজের। উরুগুয়ের এই তারকা স্ট্রাইকারের নামের পাশে আছে ২৯ গোল। আর্জেন্টাইন কোচ মার্সেলো বিয়েলসার স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়ায় সুয়ারেজের পক্ষে এই রেকর্ড আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে মেসির সামনে সুযোগ আছে সাবেক সতীর্থ ও বন্ধু সুয়ারেজকে টপকে যাওয়ার। এই দুই ম্যাচ থেকে ২ গোল পেলেই মেসি টপকে যাবেন সুয়ারজকে। আর এক গোল পেলে সুয়ারজকে ছুঁতে পারবেন মেসি। এই রেকর্ডে মেসি-সুয়ারেজের ধারেকাছেও নেই অন্যরা। তিনে থাকা বলিভিয়ান তারকা মার্সেলো মরেনো মার্তিনসের গোলসংখ্যা ২২। তাই বিশেষ কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই রেকর্ডটি নিজের করে নেওয়ার সুযোগ আছে মেসির।
অন্য দিকে নেইমারের সামনে সুযোগ ফুটবলের রাজা পেলেকে ছাড়িয়ে ব্রাজিলের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটটি নিজের করে নেওয়ার। এর আগে গত বছরের কাতার বিশ্বকাপে গোল করে পেলেকে ছুঁয়েছিলেন নেইমার। বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দুর্দান্ত এক গোলে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন নেইমার।
আর.এইচ/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন