বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** দেড় বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জয় বাংলাদেশের *** ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী *** আদালত যাদের পলাতক বলবেন তারা নির্বাচন করতে পারবেন না: আসিফ নজরুল *** নির্বাচনে প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক *** সাপে কাটা রোগীদের জন্য হাসপাতালে বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু *** জিয়ার সরকারের মন্ত্রীর ছেলে আওয়ামী লীগে, যা বললেন বিশ্লেষক *** সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝটিকা মিছিলের ভিডিও, বাস্তবে তেমন কিছু না: ডিএমপি কমিশনার *** সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে ৩৬ প্রস্তাব বিএনপির *** ভারতে ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর নতুন অস্ত্র এআই: গবেষণা *** মিরপুরেই শেষ ম্যাচ খেলতে চান সাকিব

মেডিকেল বর্জ্য ঘিরে কোটি টাকার কালো বাণিজ্য

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

দেশের হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা বর্জ্যকে ঘিরে কোটি কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসায় জড়াচ্ছেন স্বার্থান্বেষী কিছু মহল। এসব ক্ষতিকর বর্জ্য রীতিমতো বেচাকেনা হচ্ছে বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে। একেবারে দিনে-দুপুরে চোখের সামনে এসব অবৈধ কাজ চললেও দেখার যেন নেই কেউ।

তথ্যমতে, রাজধানীর বেড়িবাঁধের একটি ভাঙারির দোকানে খোলা অবস্থায় মেডিকেল বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা গেছে। দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আসছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিসম্পন্ন এসব বর্জ্য। রক্তমাখা স্যালাইনের পাইপ, ধারালো সুই, প্লাস্টিক ব্যাগসহ সব একসঙ্গে ভাঙা হচ্ছে এক মেশিনেই। পরে এগুলো দিয়েই তৈরি করা হবে বিভিন্ন প্লাস্টিক সামগ্রী।

ভাঙারি দোকানীরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে টাকার বিনিময়ে খুব সহজেই মিলছে এসব জিনিস। কেজিপ্রতি যার দাম ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ক্ষেত্রে বিশেষে তারও বেশি। আর এসব কথার সত্যতাও মেলে খোদ রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কথায়। তবে, হাসপাতালটির পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশীদ-উন-নবী নিজে অবশ্য মেডিকেল বর্জ্য বাইরে বিক্রির বিষয়ে অবগত নন।

তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে মেডিকেল বর্জ্য নিয়ে বাইরে বিক্রির বিষয়টি প্রথম শুনলাম। তবে, প্রিজম ফাউন্ডেশন বর্জ্যগুলো যেখানে নিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে সরছে কিনা দেখার বিষয়।

এদিকে, প্রিজম ফাউন্ডেশনের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা অরক্ষিতভাবে ডাস্টবিনে ফেলে রাখা হচ্ছে। এসব উপকরণ সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত না করেই পুনঃব্যবহারের ফলে এইচআইভিসহ মারাত্মক সব সংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বেনজির আহমেদ জানান, মেডিকেল বর্জ্য এভাবে কারও কাছেই বিক্রি করা যাবে না। যদি এমনটা হয় তাহলে মারাত্মক সংক্রামক ছড়িয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এই বর্জ্যগুলো রিসাইকেল করে আবার বিক্রি করলেও ঝুঁকি আছে।

পরিবেশবিদরা বলছেন, অবৈধভাবে মেডিকেল বর্জ্য কেনা-বেচার কারণে কেবল পরিবেশের ক্ষতি কিংবা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেই পড়তে হচ্ছে না বরং এটি চরম অপরাধ। তাই শুধু আইন করে নয়, অবৈধ সিন্ডিকেটের সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

আর.এইচ/  আই.কে.জে

মেডিকেল বর্জ্য

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250