২০১৯ সাল থেকে চীন কিউবায় সামরিক ও গোয়েন্দা সুবিধাগুলো পরিচালনা করছে এবং বিশ্বজুড়ে তার গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা প্রসারিত করে চলেছে। জানা যায়, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ২০১৯ সাল থেকে চীন কিউবায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
চীন বেশ কয়েক বছর ধরে কিউবা ভিত্তিক বিভিন্ন সাইট থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুপ্তচরবৃত্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কিউবা চীনকে গুপ্তচরবৃত্তির সুযোগ করে দিয়েছে। এ সুযোগে চীন অতি সহজেই দক্ষিণ-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকট্রনিক যোগাযোগের বিষয়ে গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে পারবে।
যদিও গোয়েন্দা সূত্র এ তথ্যের সত্যতা এখনও প্রমাণ করতে পারে নি। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এ তথ্যকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেন।
ফেব্রুয়ারিতে গুপ্তচর বেলুনের ঘটনা এবং সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন সম্পদের বিরুদ্ধে চীনা বিমান ও জাহাজের বেশ কয়েকটি আক্রমণাত্মক হামলার পর মার্কিন-চীন সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এ সম্পর্ক সংশোধন করার চেষ্টা করছে, এবং চীনা কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার জন্য গত মাসে সিআইএ পরিচালক বিল বার্নসকে চীন পাঠিয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও আগামী সপ্তাহে চীন সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কিন্তু গত সপ্তাহে, চীনের প্রতিরক্ষা প্রধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোন ধরনের বৈঠকে বসতে অস্বীকৃতি জানান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের জলসীমা ও আকাশসীমার কাছে নিয়ন্ত্রণ চালানোর ক্ষেত্রে হুঁশিয়ারি প্রদান করেন।
তবে চীনে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কার্যক্রমে আশ্চর্য হয়েছেন। বাইডেন প্রশাসনের কিউবা ভিত্তিক প্রতিবেদন অস্বীকার করা নিয়ে অবাক হয়েছেন তিনি।
ওবামা প্রশাসনের সময় প্রায় তিন বছর ধরে চীনে শীর্ষ মার্কিন কূটনৈতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ভয় পাচ্ছে বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
মূলত কিউবায় চীন যে বিভিন্ন সামরিক ও গোয়েন্দা সাইট রক্ষণাবেক্ষণ করে তা দুই দেশেরই সহযোগিতায়। তাছাড়া চীন তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এ ধরনের কাজ করে চলেছে।
চীনা সামরিক এবং গোয়েন্দা সাইটগুলো সামুদ্রিক পরিসীমা, মার্কিন গুয়ানতানামো নৌ ঘাঁটি এবং মার্কিন যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা যায়। তাছাড়া অনেক ওয়ারল্যাস যোগাযোগ ও চীন সরকার পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, কিউবার সাথে পিআরসি এর দীর্ঘস্থায়ী কার্যক্রম নিয়ে তারা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। পিআরসি একদিকে যেমন কিউবায় তার প্রভাব বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাবে, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা প্রতিহত করার চেষ্টা করবে।
আই. কে. জে