রবিবার, ৩রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এনসিপির ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা *** তিন দশকের রাজনীতিতে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই শক্তিশালী নারী: মাহফুজ আনাম *** সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলবে ঐকমত্য কমিশন *** তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক: তারেক রহমান *** গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলাকারীদের উসকানি, স্থানীয় সাংবাদিক গ্রেপ্তার *** যাত্রীর লাগেজটি নড়ছিল, খুলতেই ভেতরে ২ বছরের শিশু *** তারেক রহমান আসবেন, আমাদের নেতৃত্ব দেবেন, পথ দেখাবেন: মির্জা ফখরুল *** ১৮ তলা থেকে পড়ে বেঁচে গেল তিন বছরের শিশু *** ট্রাম্পের হুমকিতেও রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত *** নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মুখে অ্যাপল কোম্পানির নতুন হেডসেট উৎপাদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৪৫ অপরাহ্ন, ১১ই জুন ২০২৩

#

অ্যাপল সম্প্রতি বাস্তবতাভিত্তিক তার নতুন হেডসেট বাজারজাত করেছে। নতুন ধরনের পণ্য বাজারজাত করার ক্ষেত্রে অ্যাপল বিখ্যাত। এর আগেও আইপডের আগমন সঙ্গীতাঙ্গনে বিপুল প্রভাব ফেলে। আইফোনের আগমন স্মার্টফোন যুগের সূচনা ঘটায়। এটি ট্যাবলেট এবং পরবর্তীতে স্মার্টওয়াচগুলোকে আইপ্যাড এবং অ্যাপল ওয়াচের জন্য প্রয়োজনীয় আনুষাঙ্গিক হতে সাহায্য করে।

চলতি সপ্তাহে এ কোম্পানি ৩,৪৯৯ মার্কিন ডলার মূল্যের মিক্সড রিয়ালিটি হেডসেট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে অ্যাপল ভিশন প্রো। মার্কিন প্রযুক্তির এ এক নতুন যাত্রা।

তবে এর আগেও এমনকিছু তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল এবং শেষমেশ সেগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়।

গত ২০ বা ৩০ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯৮০ দশকের শেষ দিকে বা ১৯৯০ এর প্রথম দিকে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি নিয়ে মানুষের মাঝে দারুণ কৌতুহল কাজ করত। তখন নিন্টেন্ডোর ভার্চুয়াল বয় বাজারে আসে, যা গেইম খেলার সময় থ্রি ডি গ্রাফিক্স উপস্থাপন করতে সক্ষম ছিল। কিন্তু অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং তেমন কার্যকর না হওয়ার কারণে এটি তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করে নি। ২০০০ এর দশক পর্যন্ত বাজারে এর চাহিদা থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমে আসে।

লাকি, ভিডিও গেইমের অনুরাগী হওয়ার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত দিকও তাকে দারুণ টানতো। ভিআর হেডসেটের বিশাল কালেকশন ছিলো তার। এমনকি ১৬ বছর বয়স থেকে তিনি নিজেই এসব তৈরি করতে পারতেন। অবশেষে তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার তৈরি এসব প্রযুক্তি বাজারজাত করার। এভাবেই ২০১২ সালের আগস্ট থেকে ওকুলাসভিআর কোম্পানির যাত্রা শুরু।

ভিআর হেডসেটগুলোতে এ কোম্পানি বিরল সাফল্য অর্জন করে। ওকুলাসের প্রচেষ্টায় ভিডিও গেইম জগতে বিরাট পরিবর্তন আসে এবং তা মেটাভার্সেও দারুণ কাজে লাগে।

দশ বছর আগে গুগল গুগল গ্লাস চালু করেছিল যার দ্বারা মানুষ ডিজিটাল তথ্যের ভিত্তিতে গ্রাফিক্যাল স্তরসহ সমগ্র বিশ্বকে দেখতে পাবে। কিন্তু এ পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। এক্ষেত্রে ব্যবহৃত চশমাগুলো ব্যবহার করা যথেষ্ট কঠিন ছিল। 

প্রযুক্তি সাংবাদিক এবং টিডিয়াম নিউজলেটারের লেখক, এরনি স্মিথ বলেন, তিনি ২০১৩ সালে গুগল গ্লাস ব্যবহারের চেষ্টা করেন এবং তার কাছে সেসময় এটি দারুণ আকর্ষণীয় বলে মনে হয়েছিল। তবে তিনি বিশ্বাস করেন গুগল যদি আধুনিক প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে এটিকে আরেকটু উন্নত করত তবে তা বেশি গ্রহণযোগ্য হতো।

গুগল গ্লাস প্রকাশের দুই বছর পর সেসময়কার বিখ্যাত কোম্পানি ম্যাজিক লিপ হেডসেট বাজারজাতকরণের  সিদ্ধান্ত নেয়। এ কোম্পানির রিয়েলিটি গ্লাস বাজারে জনপ্রিয় হতে প্রায় তিন বছর সময় নেয়। ২০১৮ সালের আগস্টে প্রথম হেডসেট বাজারজাতকরণের পর এ কোম্পানি এক বছরে ১০,০০০ হেডসেট বিক্রির ঘোষণা দেয়। কিন্তু এক বছর পর মাত্র ৬০০০ হেডসেট বিক্রি করতে সক্ষম হয় কোম্পানিটি।

তাছাড়া এ হেডসেটের মূল্য ছিল ২৩০০ মার্কিন ডলার এবং এর মাঝে কিছু ত্রুটিও পরিলক্ষিত হয়। তবে ঐ সময়ের অন্যান্য হেডসেটের তুলনায় এটি যথেষ্ট ভালো ছিল। মূল সমস্যাটি ছিল ভোক্তারা এ ধরনের পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন উৎসাহ খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

তবে অন্যান্য সহজ এআর পদ্ধতিগুলো সফল হয়। যেমন ২০১৬ সালে বাজারে আসে পোকেমন জিও, যা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। অন্যদিকে এ ধরনের গেইমের কারণে রাস্তায় দুর্ঘটনার ঘটনা বাড়বে এ আশংকায় এর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে।

অন্যান্য হেডসেটের তুলনায় অ্যাপল উন্নত প্রযুক্তির হেডসেট নিয়ে এসেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে অবশ্যই বাস্তবতা এবং এই প্রযুক্তিভিত্তিক বাস্তবতার মধ্যে পার্থক্য আজও রয়ে গেছে।

মাইক্রোসফটের হলোলেন্স হেডসেট শিল্পে বিশেষজ্ঞ ব্যবহারের বাজারকে লক্ষ্য করে নির্মিত। এটি বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া অর্জন করে।

একটি বিশেষ ক্ষেত্রকে লক্ষ্য করে অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোসফট এই হলোলেন্স হেডসেট ২০১৬ সালে বাজারে আনে। তবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও বাজারে আসার পর থেকে প্রায় ৩ লাখ ডিভাইস এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। 

হলোলেন্সকে উন্নত করার চেষ্টাও করছে মাইক্রোসফট।  

প্রযুক্তিটি মস্তিষ্কের জটিল অস্ত্রোপচারে সার্জনদের সহায়তা করার জন্য এবং অন্ত্রের ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারে সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার দেখা যায়। সম্প্রতি মার্কিন সেনাবাহিনিতে ১ লাখ ২০ হাজার সেট বিক্রির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে মাইক্রোসফট। 

গত বছরেই ম্যাজিক লিপ তার হেডসেটের দ্বিতীয় সংস্করণ বাজারে আনে। একইসাথে মাইক্রোসফট হলোলেন্স ২ ইতিমধ্যেই বাজারে এনেছে। অর্থাৎ ব্যাপক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে অ্যাপল।

আই কে. জে/


Important Urgent

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন