ছবি-সংগৃহীত
দীর্ঘ ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে কখনোই পর্দার সামনে আসতে দেখা যায় নি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে। এবার প্রথমবারের মতো দাঁড়ালেন ক্যামেরার সামনে, করলেন অভিনয়। তাকে দেখা যাবে ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ওয়েব সিনেমায়। তার সঙ্গে দেখা যাবে নুসরাত ইমরোজ তিশাকে।
সিনেমাটিতে অভিনয়ের পাশাপাশি গল্প, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালনা করেছেন ফারুকী নিজেই। এ প্রসঙ্গে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমি নানা রকম গল্প বলার চেষ্টা করেছি। সেগুলোর একেকটা একেক রকমভাবে মানুষকে স্পর্শ করেছে। অভিনয় কেমন হওয়া উচিত, কোন গল্প বলা জরুরি- এসব নিয়ে সারাক্ষণই নিরীক্ষা করার চেষ্টা করেছি।
কিন্তু যে কাজটা কখনোই করার চেষ্টা করিনি, সেটা হলো অভিনয়। প্রথম দিকে এটা নিয়ে আমার মধ্যে ইতস্তত ভাব থাকলেও তিশা আমাকে একটা কথা বলে আমার সংশয় দূর করে দেয়। ও বলে, এই গল্প তুমি জীবনে একবারই করতে পারবে। করে ফেলো, প্লিজ!’
আরো পড়ুন: যে প্লেয়ার সে সব সময় খেলতে পারে : শখ
তিনি আরও বলেন, ‘অভিনয় তো একটা ভালনারেবল কাজ। আর এই গল্পে অভিনয় তো আরও ভালনারেবল ব্যাপার, যেখানে নিজের জীবনও কোনো না কোনো আঙ্গিকে লুকিয়ে আছে। তবে, শুটিং শুরু হওয়ার পর তেমন কোনো আলাদা অনুভূতিই হয়নি। মনে হয়েছে, এটাই তো স্বাভাবিক। শুধু একটা জিনিস অবশ্য আলাদা ছিল। শটের সময় মনিটরে থাকা হতো না। আমার ছোট ভাই কিবরিয়া মনিটরে থাকতো। আর আমি শট শেষে গিয়ে প্লে-ব্যাক করতাম।’
অভিনয় শেখার ব্যাপার বলতে পারব না। কারণ পরিচালক তো সবার আগে দেখতে পায় চরিত্রটা কিভাবে হাঁটে, কথা বলে, কী ভাবনা চিন্তা করে! ফলে, এই চরিত্র কী করবে না করবে সেটা জানতামই। এই ছবিটা আমার আর তিশার সবচেয়ে পারসোনাল স্টোরি। আপনাদের ভালো লাগলে বা ভাবালে খুশি হব।’-যোগ করেন এই নির্মাতা।
চরকিতে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টে জনপ্রিয় ১২ জন নির্মাতা ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি ওয়েব সিনেমা নির্মাণ করছেন। পুরো প্রজেক্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন ফারুকী।
এসি/ ধরে