রবিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১২ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা পায়নি পর্যবেক্ষণ দল *** জুলাই আন্দোলনের মূল নায়ক তারেক রহমান: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী *** মৌলিক সংস্কার না হলে গণতান্ত্রিক উত্তরণ হবে না: বদিউল আলম মজুমদার *** মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা *** জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মূল লক্ষ্য ছিল ‘অভ্যন্তরীণ পরাধীনতামুক্ত’ রাষ্ট্র গঠন: ফরহাদ মজহার *** গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা চলছে: প্রধান উপদেষ্টা *** জুলাই শহীদ পরিবারের জন্য ৮০৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প একনেকে উঠছে রোববার *** চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: মোস্তফা জামাল *** মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার করবে রাজনৈতিক সরকার: অর্থ উপদেষ্টা *** প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও ১৪টি দলের বৈঠক আজ

পাকিস্তানে ছয়টি চীনা ফোন টাওয়ারে আগুন দিয়েছে বিএলএ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:২১ অপরাহ্ন, ২২শে এপ্রিল ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত।

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলায় পাকিস্তান ও চীনা কোম্পানির ছয়টি মোবাইল ফোন টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড ঘটানোর দাবি করেছে বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএ)।

বেলুচিস্তানের কেচের দাশত কাম্বেল, জান মুহাম্মদ বাজার, প্রিন্ট বাজার এবং জারিন বাগ এলাকায় পাকিস্তানি মোবাইল ফোন কোম্পানি 'ইউফোন' এবং চীনা কোম্পানি 'জং' এর মোবাইল ফোন টাওয়ারেও হামলা চালায় বিএলএ।

টাওয়ারগুলোর সমস্ত যন্ত্রপাতি পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে বলে জানায় তারা। 

একইভাবে, কেচের দাশতে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) রুটে ইউফোনের আরেকটি টাওয়ার এবং কেচের সুঙ্গাই বাজারে জং কোম্পানির টাওয়ারে হামলা চালিয়ে সমস্ত যন্ত্রপাতি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

গুপ্তচর ও সৈন্যদের সুবিধা প্রদানের জন্য পাকিস্তান ও চীন বেলুচিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ফোন টাওয়ার স্থাপন করেছিল। টাওয়ারগুলো অবশ্য বেলুচ জনগণের উপর নজরদারির জন্যেও ব্যবহৃত হয়।

সিপিইসি রুট রক্ষার জন্য মোবাইল ফোন টাওয়ারগুলো স্থাপন করা হয়। বেলুচ জনগণ ও বেলুচিস্তানের উন্নয়নের অংশ হিসেবে এ প্রকল্পকে প্রচার করে মূলত প্রশাসন স্থানীয়দের বিভ্রান্ত করে এবং তাদের সম্পদ লুট করে।

দুই বছর আগে, ২০২১ সালের জুন মাসে, বেলুচ লিবারেশন আর্মি দাবি করেছিল যে তারা কোয়েটা বেলুচিস্তানের মারগাটের চোখোবি ওয়াধ এলাকার টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলোতে অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং ছয়জন কর্মীকে আটক করেছে।

এ ব্যাপারে বিএলএ-এর বক্তব্য ছিল বেলুচিস্তানের বিভিন্ন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলোকে বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল যেন তারা সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর (পাকিস্তান ও চীন) সহায়ক হিসেবে কাজ না করে।

চীন, পাকিস্তানের সহায়তায় টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক স্থাপন করে এবং বেলুচিস্তানে মানুষের গতিবিধির উপর নজরদারি রাখা শুরু করে। এ জন্য তারা হাওয়াই এবং সাবকম কোম্পানিগুলোসহ অন্যান্য টেলিকম কোম্পানিকে ব্যবহার করে।

এই সমস্ত প্রকল্পগুলো "ইউনিভার্সাল সার্ভিস ফান্ড" এর অধীনে একটি সুসংগঠিত প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হচ্ছে।

টেলিকম কোম্পানিগুলো পাকিস্তানি সামরিক বাহিনির নির্দেশে বেলুচিস্তানের জনমানবহীন পাহাড়ি এলাকায় মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করেছে। এই টেলিকম কোম্পানির ছদ্মবেশে, চীন ও পাকিস্তান বেলুচ যোদ্ধাদের সম্পর্কে গোপন তথ্য আদান প্রদান করছে এবং অধিকৃত বেলুচিস্তানে চলমান সামরিক আগ্রাসন ও বেলুচ যুবকদের অপহরণে পাকিস্তান সামরিক বাহিনিকে সহযোগিতা করছে।

এম এইচ ডি/ আইকেজে 

আরো পড়ুন:

সারাবিশ্ব ভারতের আধুনিকায়নে মুগ্ধ : এস জয়শঙ্কর

পাকিস্তান বেলুচিস্তান প্রদেশ চীন মোবাইল ফোন টাওয়ার অগ্নিকাণ্ড বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএ)

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন