সোমবার, ৪ঠা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নতুন সংবিধান রচনার ঘোষণা এনসিপির *** জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা থেকে ৮ জনের নাম বাদ *** বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি *** স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন সভাপতির চিঠি *** বৃষ্টি উপেক্ষা করে সিডনিতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে লাখো মানুষ *** এনসিপির ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা *** তিন দশকের রাজনীতিতে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই শক্তিশালী নারী: মাহফুজ আনাম *** সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলবে ঐকমত্য কমিশন *** তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক: তারেক রহমান *** গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলাকারীদের উসকানি, স্থানীয় সাংবাদিক গ্রেপ্তার

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণার সময় আসেনি: স্বাস্থ্যের ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:১৮ অপরাহ্ন, ১৬ই জুলাই ২০২৩

#

প্রতীকী ছবি

ঢাকাসহ সারাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর ভয়াবহ সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক হেলথ ইমারজেন্সি বা জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণার সময় এখনো আসেনি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম। তবে দেশে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বা ডেঙ্গু সংক্রমণ আরও বাড়লে স্বাস্থ্যসেবা সংকটে পড়তে পারে বলে জানান তিনি।

রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।


ছবি: সংগৃহীত

ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুরোগী ভর্তি মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপরে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

তিনি জানান, মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীদের জন্য শয্যা সংখ্যা ৫০০টি। কিন্তু সেখানে রোগী ভর্তি আছেন ৬০০ জনের মতো। বোঝাই যাচ্ছে, শয্যা না পাওয়া ডেঙ্গুরোগীরা কীভাবে সেখানে আছেন! আমরা অতিরক্তি কিছু শয্যার ব্যবস্থা সেখানে করেছি। সে অনুযায়ী যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দিতে চেষ্টা করছি।

স্বাস্থ্যের ডিজি আরও বলেন, মুগদা হাসপাতালের আশপাশের জোনগুলো যেমন শনিরআখড়া, যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগ, কদমতলি, বাসাবো ,মুগদা থেকে শুরু করে রামপুরা পর্যন্ত পুরো এলাকাতেই ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বেশি। এসব রোগীদের বেশিরভাগই মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করেছিলাম সেখান থেকে কিছু রোগী অন্যত্র সরিয়ে নিতে। কিন্তু রোগীরা রাজি হননি। তারা তাদের বাসাবাড়ির কাছাকাছি থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।

ডা. খুরশীদ আলম বলেন, আমাদের অন্য হাসপাতালগুলোতে শয্যা খালি ছিল, কিন্তু সেগুলো ধীরে ধীরে ভরে যাচ্ছে। দেশে উদ্বেগজনক হারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। আমরা চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আমরাও সংকটে পড়ে যাবো। তবে ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত আমাদের কোনো সংকট নেই।

আরো পড়ুন: ৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ডেঙ্গুরোগী ভর্তির তথ্য দিচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলন, যেসব বেসরকারি হাসপাতাল ডেঙ্গুরোগী ভর্তির তথ্য গোপন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এম/


ডেঙ্গু স্বাস্থ্য ডিজি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন