বাবার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প। ২০২১ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকেই বাবা ও মেয়ের মধ্য দূরত্ব বেড়েই চলেছে। এমনকি ট্রাম্প ফৌজাদির অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকে দুজনের দূরত্ব যেনো আরও দৃষ্টিকটুভাবে ধরা পড়ছে।
ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন ইভাঙ্কা এবং তার স্বামী জ্যারেড কুশনার প্রায়ই ট্রাম্পের বিদেশ সফরের সঙ্গী হতেন। তবে বর্তমানে ইভাঙ্কা এবং জ্যারেড কুশনার-দুজনেই নিজেদের ব্যবসা এবং ক্যারিয়ারের প্রতি আরও মনোযোগী হয়েছেন। ফলে ক্রমেই ট্রাম্পের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছ তার কন্যার।
দূরত্ব এতটাই বেড়েছে যে, গত বছরের নভেম্বরে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ের ঘোষণা দেন তখনও ইভাঙ্কা তার পাশে ছিলেন না।
তবে আইন বিশ্লেষকদের মতে, ইভাঙ্কা নিজেকে বাঁচাতে এখন যতই ট্রাম্পের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন না কেন, তা ফলপ্রসূ নাও হতে পারে। কারণ এরই মধ্যে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের কর জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে ইভাঙ্কার নামও উঠেছে।
আইন বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাটর্নি অ্যান্ড্রু লিয়েব বলেছেন, ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি সম্ভবত অনেক দেরি করে ফেলেছেন।
আরো পড়ুন: প্রায় পাঁচ হাজার হজযাত্রীর কোরবানির খরচ দিলেন বাদশাহ সালমান
অ্যান্ড্রু লিয়েব বলেছেন, ‘তার নিজেকে নতুন করে চেনানোর যে খেলা তা সম্ভবত একটু দেরিতে শুরু হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এই পরিবারটির (ট্রাম্প পরিবার) ভেতরে কিছু ঘটছে এবং তাদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে। কারণ আমি দেখতে পেয়েছি যে, এই পরিবারটির সদস্যরা পরস্পরের খুব ঘনিষ্ঠ। তবে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার তছরুপের দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত।’
এম/