বুধবার, ২৩শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সচিবালয়ে ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা *** জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিলেন বিশ্ব আদালত *** প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিমানবাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ *** এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা একই দিনে হচ্ছে না, নতুন রুটিন প্রকাশ *** বাগমারা বিদ্যালয়ের নাম বদল, নতুন নাম শহীদ জিয়া বিদ্যালয় *** মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** রক্ষণাবেক্ষণের কাজে কর্ণফুলী টানেলে ৪ দিন যান চলাচল সীমিত থাকবে *** শুল্কে সুবিধা পেতে আমেরিকার গম বাড়তি দামে কিনবে সরকার *** টুঙ্গিপাড়ায় ২৮২ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা *** ভোটের দিন গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা জারি ইসির

টিটিপি সমস্যার জন্য আফগানিস্তানকে দায়ী করছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:০৮ অপরাহ্ন, ২২শে এপ্রিল ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত।

নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর সহিংসতার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার আর কোনও উপায় খুঁজে পাচ্ছে না পাকিস্তান সরকার ও সামরিক বাহিনি। টিটিপির দাবি সময়ের সাথে সাথেই পরিবর্তিত হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) উপজাতীয় এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের প্রধান দাবি টিটিপির। টিটিপি-এর হামলার সাম্প্রতিক বৃদ্ধির জন্যে তালেবানকে দায়ী করছে অনেকে।

২০২২ সালের নভেম্বরে টিটিপি পাকিস্তান সরকারের সাথে যুদ্ধবিরতি শেষ করার পর থেকে পাকিস্তান নিরাপত্তা বাহিনি সীমান্ত এলাকায় তৎপরতা বাড়িয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ কঠোর করেছে। আফগানিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান, হক ওয়াসিক সম্প্রতি পাকিস্তান সেনাবাহিনির হাইকমান্ডের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে রাওয়ালপিন্ডিতে গিয়েছিলেন।

পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা আফগানিস্তানে টিটিপি নিষিদ্ধ করা সহ প্রতিনিধিদলের সামনে কিছু অবাস্তব দাবি রেখেছেন বলে জানা যায়। টিটিপি আমির মুফতি নুর ওয়ালি মেহসুদ এবং অন্যান্য নেতাদের নির্মূল করার ব্যাপারে আফগানিস্তানের সাহায্য কামনা করেন পাকিস্তানি বাহিনি।

বিতর্কিত ডুরান্ড লাইনকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানি বাহিনি আফগানিস্তানের আকাশপথে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে নিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান। 

সম্প্রতি, সীমান্ত অতিক্রমকারী বেসামরিক নাগরিকদের উপর পাকিস্তানি বাহিনির অযথা গুলি চালানোর মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে। আফগানিস্তানের হেলমান্দ, নানগারহার, কুনার এবং খোস্ত এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাকিস্তানের দুর্ভোগের বিপরীতে, সীমান্ত এলাকায় এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে আফগান নাগরিকদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন তালেবান সরকার।

সীমান্ত এলাকাগুলোতে পাকিস্তানি নির্যাতনের শিকার হওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বসবাসরত দরিদ্র আফগানরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। আফগান নারীদের উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালিয়েছে পাকিস্তানিরা।

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম এলাকার দুর্ভোগের জন্য তালেবানকে দায়ী করা ফলপ্রসূ নয় বলে জানান তালেবান সরকার। পাকিস্তানকে তার নীতি ও পশতুনদের প্রতি তাদের মনোভাবকে পরিবর্তন করার পরামর্শ দেন তালেবান সরকার। বছরের পর বছর ধরে চলমান অবহেলা ও বৈষম্য সহ্য করতে না পেরে উপজাতিরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ এই সমস্যার সমাধান অন্য কোন দেশ করতে পারবে না বলে জানান তালেবান সরকার।

এম এইচ ডি/আইকেজে 

আরো পড়ুন:

ভারতে এসসিও বৈঠকে যোগ দেবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

টিটিপি আফগানিস্তান পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন