বুধবার, ৩০শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের *** সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে ব্রিটেনও *** একাত্তর নিয়ে বক্তব্য, সমালোচনার মুখে আসিফ নজরুলের দুঃখ প্রকাশ *** জুলাই সনদের খসড়ার সঙ্গে ‘মোটামুটি’ একমত বিএনপি *** বিনা অনুমতিতে নূরুল কবীরকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য করা হয়েছে, প্রত্যাহারের অনুরোধ *** জনসংখ্যা বাড়াতে প্রত্যেক শিশুকে বছরে ৬২ হাজার টাকা করে দেবে চীন *** প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হলেন মাহফুজ আনাম, নূরুল কবীরসহ ১২ জন *** ইসরায়েলি দুই মন্ত্রীকে নেদারল্যান্ডসে ঢুকতে দেবে না দেশটির সরকার *** ডাকসু নির্বাচন ৯ই সেপ্টেম্বর *** আর কাউকে প্রতীকী মূল্যে জমি দেবে না সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে নেট-শূন্যের প্রতিযোগিতায় ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

নেট শূণ্যের লক্ষ্যে ভারতের অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, চীন এবং জাপানের তুলনায় কিছুটা কম হলেও অত্যন্ত প্রশংসনীয়।  

সম্প্রতি কার্বন শূন্য পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইইউ এবং জাপানের পাশাপাশি ভারতও বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে দেশগুলো বিশ্বের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চাইছে। এদিক দিয়ে ভারত এখন পর্যন্ত তার লক্ষ্যে ঠিকপথেই হাঁটছে।

অন্যান্য দেশের মতো ভারতেরও জাতীয়ভাবে নির্ধারিত কিছু লক্ষ্য রয়েছে যা পূরণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটি৷ তবে ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতকে নেট শূণ্য লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আরো ১২.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে৷ 

করোনা পরবর্তী সময়ে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়ার ঠিক উলটোদিকেই ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুততার সাথে বেড়ে চলেছে। ফলে বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে ভারত।

সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রায় দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। বৈদ্যুতিক যানবাহনও এখন বিখ্যাত ভারতে। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৫০০ লাখ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চলেছে ভারত। 

নেট জিরো লক্ষ্য পূরণে ভারতকে সহযোগিতা করতে চলেছে জি-২০ সম্মেলন। এ সম্মেলনে ভারত বিশ্বব্যাপী সবুজ বনায়নের উপর গুরুত্ব দিতে চলেছে। প্রাকৃতিক উপাদান তথা সৌরশক্তিকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ ও বায়ু উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দিতে চলেছে ভারত। 

বর্তমান বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য রেখে শূন্য কার্বন নীতি এখনকার সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে লক্ষ্য রেখেই ভারত শিল্প ও গবেষণার দিকে উন্নত হচ্ছে। ভবিষ্যতেও অসংখ্য উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের সাক্ষী হতে চলেছে ভারত৷ 

তবে চলমান জি-২০ নেতৃত্ব ভারতের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। কঠিন ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে সারাবিশ্বকে একত্রিত করা এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের সাথে জড়িত রাখা এটিই অনেক বড় দায়িত্বের বিষয়।

ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইইএফএ) এর দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক বিভূতি গর্গ জানান, কেবলমাত্র বিদ্যুৎ খাতের জন্য এ শূন্য কার্বন নীতি বাস্তবায়নই ভারতের একমাত্র লক্ষ্য নয়। ভারত এ শূন্য কার্বন নীতি যানবাহন, পরিবহন এবং অন্যান্য খাতেও বাস্তবায়িত করতে চাইছে।

শূন্য কার্বন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে নতুন শিল্প যুগের উদ্ভব হয়েছে। চীন, ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক বাজারে সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এ প্রতিযোগিতায় যে দেশ শূন্য কার্বন নীতি বাস্তবায়নে এগিয়ে থাকবে সে ই হবে জয়ী।

এসকে/ এএম/ 


চীন যুক্তরাষ্ট্র ভারত নেট শূণ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন