রবিবার, ১৫ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিশ্ব বাবা দিবস আজ *** ইরানের প্রেসিডেন্টকে পরমাণু আলোচনায় বসার আহ্বান মাখোঁর *** 'জরুরি সহায়তা' হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে ব্রিটেন *** ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপে উঠে এল যেসব বিষয় *** হাতিরঝিলের পানি পরিশোধনের কাজ জোরদার হচ্ছে *** ছুটি শেষে রোববার থেকে চালু ব্যাংক ও পুঁজিবাজার *** আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩শে জুন, অনুমোদন হতে পারে দুই কিস্তির অর্থ *** ইরানের ভেতরে ঘাঁটি গেড়ে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা নিষ্ক্রিয় করে মোসাদ *** ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন জামায়াতের আমিরের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ: সালাহউদ্দিন *** টানা ১০ দিন ছুটি শেষে অফিস খুলছে কাল

অজানার দেশে পাড়ি দিলেন কবি মোহাম্মদ রফিক

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, ৭ই আগস্ট ২০২৩

#

একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিক রবিবার (৬ আগস্ট) বরিশাল থেকে ঢাকা ফেরার পথে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

কবির ভাই মোহাম্মদ তারেক জানান, কবি বরিশালে তার বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ঢাকা ফেরার পথে গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল থেকে ঢাকা নেয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। 

তাঁর ভাই আরো বলেন, কবিকে ঢাকায় আনা হবে না। তার মরদেহ বাগেরহাটে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই তাঁর দাফনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তাঁর ভাই। 

এদিকে কবির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, কবি মোহাম্মদ রফিক ষাটের দশকে ছাত্র আন্দোলন ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে কবিতা ও কবিতার ভাষার মাধ্যমে অসামান্য অবদান রাখেন। তিনি আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কাব্যিক রসদ জুগিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়। তিনি তাঁর সৃজনশীলতা ও কর্মের মধ্য দিয়ে সাহিত্যপ্রেমীদের মাঝে অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন।

কবি মোহাম্মদ রফিকের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাটে। তিনি পেশাগত জীবনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।

১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলার সংসারে এই মাটি’। কবির উল্লেখযোগ্য অন্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- ‘কীর্তিনাশা’ (১৯৭৯), ‘খোলা কবিতা ও কপিলা’ (১৯৮৩), ‘গাওদিয়ায়’ (১৯৮৬), ‘স্বদেশী নিঃশ্বাস তুমিময়’ (১৯৮৮), ‘মেঘে এবং কাদায়’ (১৯৯১), ‘রূপকথা কিংবদন্তি’ (১৯৯৮), ‘মৎস্য গন্ধ্যা’ (১৯৯৯), ‘মাতি কিসকু’ (২০০০), ‘বিষখালি সন্ধ্যা’ (২০০৩), ‘নির্বাচিত কবিতা’ (২০০৩), ‘কালাপানি’ (২০০৬), ‘নির্বাচিত কবিতা’ (২০০৭), ‘নোনাঝাউ’ (২০০৮), ‘দোমাটির মুখ’ (২০০৯), ‘ত্রয়ী’ (২০০৯), ‘মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-১’ (২০০৯), ‘মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-২’ (২০১০)।


এম/এস/এইচ

কবি মোহাম্মদ রফিক অজানা দেশে পাড়ি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন