শুক্রবার, ১০ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** মাহফুজ-সারজিসরা গণ–অভ্যুত্থানের প্রকৃত নায়ক নন, যা বললেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম *** মানুষের শরীরে শূকরের যকৃৎ, চীনা চিকিৎসকদের সাফল্য *** দায়মুক্তি পাচ্ছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮টি ধারার মামলার আসামিরা *** নোবেল না পেলে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কী হবে—শঙ্কিত নরওয়ে *** অবশেষে গাজায় শান্তির আভাস, শান্তিচুক্তি সই *** সেফ এক্সিটকে সন্দেহের চোখে দেখছে বিএনপি, বিব্রত কোনো কোনো উপদেষ্টা *** থেমেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান–কামানের গর্জন, ২ বছর পর শান্তির ঘুমে গাজাবাসী *** জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী—এটা খুশির খবর, কিন্তু তাদের দেখা যায় না: শারমীন মুরশিদ *** তহবিলসংকটের কারণে এক-চতুর্থাংশ শান্তিরক্ষী কমাচ্ছে জাতিসংঘ *** খালেদা জিয়ার সেফ এক্সিটের দরকার পড়েনি: রিজভী

আমেরিকার হাত ধরেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, ২১শে জুন ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ইরানে এবারের হামলা শুরুর কারণ হিসেবে দেশটির পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে দায়ী করেছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। খবর বিবিসির।

নেতানিয়াহুর ভাষায়, ‘ইরানকে থামানো না হলে খুব কম সময়ের মধ্যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে ফেলতে পারে। এটা এক বছরের মধ্যে হতে পারে। কয়েক মাসেও হতে পারে।’

তবে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল দেশটির সাবেক রাজা রেজা শাহ পাহলভির হাত ধরে। এটা ঘটে মূলত ষাটের দশকের দিকে।

১৯৬৭ সালে দেশটির সাবেক রাজা রেজা শাহ পাহলভির হাত ধরে আমেরিকার সহযোগিতায় তেহরান পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র চালু হয়। পরের বছর নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ইরান। ওই সময় আমেরিকা ও ইসরায়েল; উভয়ের বন্ধু ছিল ইরান। তবে ১৯৬৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সেই বন্ধুত্বের অবসান ঘটে। 

অনেকের ধারণা, আশির দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইরান তার পারমাণবিক অস্ত্রের কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৮৪ সালে চীনের সহযোগিতায় ইরানের ইসফাহানে দেশটির সর্ববৃহৎ পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র চালু হয়। যদিও তেহরান সব সময়ই বিদ্যুৎ বা জ্বালানি খাতে এর শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের কথা বলে এসেছে।

২০০২ সালে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি প্রকাশ্যে আসে। তখন নির্বাসিত বিরোধী নেতারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র এবং একটি ভারী পানির চুল্লি নির্মাণের গোপন কার্যক্রমের তথ্য প্রকাশ করেন। যদিও এর আগে থেকেই ইরানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগ ছিল।

১৯৯২ সালে আমেরিকার কংগ্রেসে ইরান-ইরাক আর্মস নন-প্রলিফারেশন অ্যাক্ট বা অস্ত্র বিস্তার রোধ আইন পাস করা হয়। এতে বলা হয়, ‘ইরাক বা ইরানে পণ্য বা প্রযুক্তি সরবরাহের ক্ষেত্রে যখন মনে হবে সেগুলো সেই দেশের রাসায়নিক, জৈবিক, পারমাণবিক বা উন্নত অস্ত্র অর্জনে অবদান রাখতে পারে, এর বিরোধিতা করা আমেরিকার নীতি।’ 

নেতানিয়াহু বরাবরই ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। ১৯৯২ সালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে তিনি বলেছিলেন, ‘তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে’ তেহরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করে ফেলতে পারে।

আরএইচ/

ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম আমেরিকার সহোযোগিতায় ইরানের পারমাণবিক শক্তি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250