সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ঈদে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিল: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ৮-৯ মাসে দেশকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা *** জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ সরকারের *** দেশের ৩৩ জেলায় তাপপ্রবাহ *** খেলতে না পারাটা যন্ত্রণাদায়ক, বলছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক *** নির্বিঘ্নে বিদেশ গেলেন শেখ হাসিনার চাচা কবির হোসেন *** কোরবানির মাংস সংগ্রহ করা নিয়ে যুব মহিলা লীগ নেত্রীর ভিডিও ভাইরাল *** চ্যাটজিপিটি দিয়ে পুরোনো সাদাকালো ছবি রঙিন করবেন যেভাবে *** স্থূলতায় কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে ৫০ শতাংশ: গবেষণা *** মাউন্ট এভারেস্টে নতুন বিপদ—কিং কোবরা!

মাউন্ট এভারেস্টে নতুন বিপদ—কিং কোবরা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৪৭ অপরাহ্ন, ৯ই জুন ২০২৫

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

ঠাণ্ডা মৌসুমে সাধারণত শীতনিদ্রায় যায় বিষাক্ত সাপ। ঋতু বদলের পর যখন আবারও উষ্ণ হয়ে ওঠে প্রকৃতি, তখনই এরা নতুন শিকারের সন্ধানে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু প্রকৃতির এ চিরাচরিত হিসাবটিও যেন বদলে যাচ্ছে। এভারেস্টের মতো একটি শীতল অঞ্চলেও এখন সাপের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। তাও আবার সাধারণ কোনো সাপ নয়, পৃথিবীর অন্যতম বিষধর সাপ কিং কোবরার দেখা মিলছে সেখানে।

এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের সময় পদে পদে নানা বিপদকে অতিক্রম করে যেতে হয় পর্বতারোহীদের। তুষারঝড়, তুষার ধসের ঝুঁকি যেমন থাকে, তেমনই জলবায়ু পরিবর্তন এবং দূষণও মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এবার তাদের বিপদের খাতায় নতুন যোগ হয়েছে সাপ।

সম্প্রতি কাঠমান্ডু পোস্ট পত্রিকা জানিয়েছে, এভারেস্টের কাছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে গত এক মাসে ১০-১২টি বিষধর সাপ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি সাপই ছিল কিং কোবরা, আরেকটি ছিল মোনোক্লেড কোবরা।

সাধারণত জলাভূমিতে বা খাল-বিলের কাছাকাছি এলাকাতেই এ ধরনের বিষধর সাপ পাওয়া যায়। এ ছাড়া ম্যানগ্রোভ বন, ধানের ক্ষেতেও এদের দেখা পাওয়া যায়। তাই মাউন্ট এভারেস্ট সংলগ্ন ঠাণ্ডা জায়গায় একের পর এক সাপ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

এটি অনেকেই ভয়ংকর বিপদের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। মাউন্ট এভারেস্টের নিকটবর্তী অঞ্চলে কিং কোবরার মতো বিষধর সাপের খোঁজ পাওয়ার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন, তাদের আশ্রয়স্থল বদলের সংযোগ দেখছেন পরিবেশবিদেরা।

কাঠমান্ডু পোস্টের তথ্য অনুযায়ী—গোপালেশ্বর, সোখোল, ফুলচকের মতো পাহাড়ি এলাকাগুলোতে সাপগুলোর খোঁজ মিলেছে। কোথাও বাড়ির উঠোনে, আবার কোথায় বসতির ভেতরেই ছিল উদ্ধার করা সাপগুলো। বন দপ্তরকে খবর দেওয়া হলে তারা এগুলোকে উদ্ধার করে আবারও জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জঙ্গলেও কিং কোবরার ডিম দেখেছেন তারা। সেখানে সাপের বাসা চোখে পড়েছে।

পরিবেশবিদদের একাংশ মনে করেন, এটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। ঠাণ্ডা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করেছে কিং কোবরার মতো বিষধর সাপ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এমন ঘটছে। অন্যান্য এলাকায় তাপমাত্রা এত বেড়ে গেছে যে, সেখানে এসব সাপ টিকতে পারছে না। আবার ঠাণ্ডা জায়গাগুলোও আগের মতো ঠাণ্ডা থাকছে না। এর ফলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে আসছে বিষধর সাপগুলো।

নেপালের পার্বত্য অঞ্চলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব চোখে পড়ার মতো। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর নেপালের তরাই অঞ্চলে সাপের কামড়ে প্রায় ২ হাজার ৭০০ মানুষের মৃত্যু ঘটে। আর মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই থাকেন নারী ও শিশু। বন থেকে কাঠ এবং খড় বোঝাই করে আনার সময় গাড়িতে সাপ উঠে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন কেউ কেউ।

এইচ.এস/

বিষধর সাপ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন