শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৪৭ দেশের ৪৪৩ স্বেচ্ছাসেবীকে অপহরণ করেছে ইসরায়েল *** মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরলেন দুর্গতিনাশিনী *** শহিদুল আলমের জাহাজ এখনো আটক হয়নি, দিলেন ভিডিওবার্তা *** পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু *** এনসিপিকে শাপলা দিলে মামলা করব না, তবে ইসি দিতে পারে না: মান্না *** শুধু থালাবাটি নয়, এনসিপির জন্য আছে লাউ-বেগুন-কলাসহ ৫০ প্রতীক *** ঝড় উপেক্ষা করে গাজার পথে ফ্লোটিলা, শহিদুল আলমের ভিডিও বার্তা *** ইসরায়েলি সব কূটনীতিককে কলম্বিয়া থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রেসিডেন্ট পেত্রোর *** এআই ‘অভিনেত্রী’-কে ঘিরে যে কারণে তীব্র সমালোচনা, ক্ষুব্ধ হলিউড তারকারা *** ফ্লোটিলা থেকে আটক ২২৩ জনকে ইউরোপে পাঠাবে ইসরায়েল, জাহাজগুলোর ভাগ্য অনিশ্চিত

দিনাজপুরে আগাম জাতের আলুর ব্যাপক ফলন, দামে খুশি কৃষকরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, ২১শে ডিসেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর জেলায় আবহাওয়া ভালো থাকায় আগাম জাতের আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।

দিনাজপুর সদর উপজেলার উলিপুর গ্রামের আলু চাষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এবারে রবি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া ও আলু চাষের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ থাকায়, জেলায় আগাম জাতের আলুর ভালো উৎপাদন হয়েছে। গত ১৫ দিন থেকে পুরোদমে আলু ক্ষেত থেকে উঠানো শুরু হয়েছে । আগাম জাতের নতুন আলু পাইকাররা ক্ষেত থেকে ৫৭ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তবে আরো ১০ দিন আগে আলু উঠাতে পারলে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারতাম।

আলু চাষীরা জানান, আগাম জাতের আলুর ক্ষেতে রোগ-বালাই প্রতিবছর দেখা যায়। এবারে ওইসব রোগ বলাই আলু ক্ষেত থেকে দূর হয়ে গেছে। আগাম জাতের আলুর ক্ষেতে বিশেষ করে লেদ- লেইট, ও ব্লাইট নামক বালাই রোগ আক্রান্ত করে আলুতে পচন ধরিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। এবার সেই রোগটি এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাই আগামী মৌসুমে আগাম জাতের আলুর চাষ আরও বাড়বে বলে জানান আলু চাষীরা এবং সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মকর্তা ফয়জা রহমান।

জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ রাম নগর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, লাভের আশায় এক বিঘা জমিতে ৭টি জাতের আলু রোপণ করেছি। ক্ষেত থেকে পাইকাররা ৫৬ টাকা কেজি দরে ২২ মণ আলু নিয়ে গেছে।

একই এলাকার কৃষক মো. এনতাজুল হক বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে আগাম ৭টি জাতের আলু চাষ করছি। এবার আলু চাষে ৩ বিঘা জমিতে সব মিলে খরচ হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অর্জিত আলুর জমি থেকে গত ৭ দিনে আলু বিক্রি করেছি সাড়ে ৫ লাখ টাকার। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাভ করেছি। ৬০ টাকা কেজি দরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছি।

আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বাদাম চাষ করে স্বাবলম্বী জেসমিন আক্তার

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, চলতি মৌসুমে চিরিরবন্দর উপজেলায় ৩ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। আগাম জাতের আলু ৬৫ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে তুলতে পারেন কৃষকরা। সাধারণত প্রতি হেক্টরে ফলন ১০ থেকে ১২ মেট্রিক টন হয়। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।

এসি/ আই.কে.জে/

আলু

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250