সারা দেশে সাড়ে তিন লাখের মতো মসজিদ আছে। প্রতি শুক্রবার প্রায় ৫ কোটি মানুষ জুমার নামাজ আদায় করেন। খুতবায় ডায়াবেটিস প্রতিরোধে তথ্য প্রচারে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আট উপজেলায় একটি প্রকল্প নেয় ডায়াবেটিস সমিতি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও কাবা শরীফের ইমামের সহায়তায় এই বার্তা প্রস্তুত করা হয়।
এসব উপজেলার নির্দিষ্ট মসজিদে বসানো হয় ডায়াবেটিস কর্নার। সেখানে ব্লাড সুগার পরীক্ষা ও রক্তচাপ মাপার ব্যবস্থা আছে। রোগ প্রতিরোধেও দেয়া হয় নানা পরামর্শ। এর আগে ইমামদের দেওয়া হয় প্রশিক্ষণ।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক একে আজাদ খান বলেন, ‘আমাদের ধর্মে যে কথাগুলো আছে, সেই কথাগুলো যদি খুদবার মাধ্যমে বলা হয় তাহলে মানুষের ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাব) বাড়ে। আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যে ইমামরা আছেন তাদের সাথে কথা বলেছি। দেখলাম তারা কথা বলতে উদগ্রীব।’
সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের প্রকল্প পরিচালক ডা. বিশ্বজিৎ ভৌমিক বলেন, তাদের লিবিট প্রোফাইল উন্নতি হয়েছে, নলেজের উন্নতি হয়েছে, জীবনমানের উন্নতি হয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই এলাকাগুলোর মানুষদের শরীরিক সক্ষতা অনেক বেড়েছে।
দেশে বর্তমানে আড়াই কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
ওআ/ আই.কে.জে/