রবিবার, ৩রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলবে ঐকমত্য কমিশন *** তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক: তারেক রহমান *** গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলাকারীদের উসকানি, স্থানীয় সাংবাদিক গ্রেপ্তার *** যাত্রীর লাগেজটি নড়ছিল, খুলতেই ভেতরে ২ বছরের শিশু *** তারেক রহমান আসবেন, আমাদের নেতৃত্ব দেবেন, পথ দেখাবেন: মির্জা ফখরুল *** ১৮ তলা থেকে পড়ে বেঁচে গেল তিন বছরের শিশু *** ট্রাম্পের হুমকিতেও রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত *** নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা *** এলপিজি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম কমল ৯১ টাকা *** নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে বিএনপির কমিটি

যত্রতত্র ময়লার স্তুপ : স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে হবে

উপ-সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০২:২৬ অপরাহ্ন, ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি - সংগৃহীত

রাজধানী জুড়ে যত্রতত্র ময়লার স্তুপ। গোটা রাজধানী যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। রাস্তা-ঘাট, অলিগলি, আবাসিক এলাকার সর্বত্রই ময়লা।  উদ্ভট গন্ধে মানুষের চলাচলে অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। এতে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মেয়র ও কাউন্সিলদের অপসারণ করা হয়। আগে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা এগুলো তদারকি করতেন। তারা না থাকায় এখন তদারকি অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। সকাল বেলা সিটি করপোরেশনের ঝাড়ুদাররা সেগুলো পরিষ্কার করার কথা থাকলেও এখন তারা নিয়মিত করছেন না। কোনো এলাকায় একদিন কাজ করলে সপ্তাহে আর দেখা মেলে না। বাড়ির সামনে,হোটেল-রেস্টুরেন্টের সামনে কাগজ, প্যাকেটসহ নানা ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকছে। কেউ দেখার নেই।

সিটি করপোরেশন আইনে বলা হয়েছে, করপোরেশন নগরীর বিভিন্ন স্থানে ময়লা ফেলার পাত্র বা অন্য কোনো আধারের ব্যবস্থা করবে। করপোরেশন সাধারণ নোটিশ দিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়িঘর ও জমির দখলদারদের তাদের ময়লা বা আবর্জনা উক্ত পাত্র বা আধারে ফেলার জন্য নির্দেশ দিতে পারবে। এই আইন অনুযায়ী, করপোরেশন নির্ধারিত স্থান থেকে ময়লা সংগ্রহ করে ভাগাড়ে নিয়ে যাবে। আর নাগরিকরা তাদের বাসাবাড়ির বর্জ্য করপোরেশনের নির্ধারিত পাত্রে পৌঁছে দেবে। কিন্তু দেখা গেছে, আশপাশে বড় ডাস্টবিনের ব্যবস্থা না থাকায় বাসাবাড়ির বর্জ্য কোনো নাগরিকই সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে দিতে পারে না। যে কারণে সিটি করপোরেশন বিভিন্ন ওয়ার্ডভিত্তিক সংগঠনকে নিবন্ধন দিয়েছে, যারা বাসাবাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করে করপোরেশনের নির্ধারিত পাত্রে পৌঁছে দেয়।

প্রতিদিনই বাড়ছে রাজধানীতে খোলা স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। যে যার মতো সড়ক বা বাসাবাড়ির সামনে ময়লা ফেলে দিচ্ছে। সড়কে খোলা ডাস্টবিন না থাকায় এটি চরম আকার ধারণ করেছে। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহের দায়িত্ব দিয়ে দায় সারছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। বাসাবাড়ি থেকে এসব প্রতিষ্ঠান উচ্চমূল্যে ময়লা সংগ্রহ করলেও নেই কোনো জবাবদিহিতা। সিটি করপোরেশনের নজরদারি ও খোলা ডাস্টবিন না থাকায় রেস্টুরেন্ট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ির পরিত্যক্ত ময়লা-আবর্জনা বা উচ্ছিষ্ট কখনো সড়কে, কখনো বা ফুটপাতে ফেলা হচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে শহরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ। নগরবিদরা বলছেন, শহরে ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনার বিশেষ ধাপ হচ্ছে সড়কে ডাস্টবিন স্থাপন। ডাস্টবিন ছাড়া কোনোভাবেই একটি আধুনিক শহর কল্পনা করা যায় না।

নগরকে পরিছন্ন রাখতে তৎকালীন সরকার ২০১৬ সালে দুই সিটিতে সড়কে ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় ১১ হাজারটি ডাস্টবিন স্থাপন করে। সেগুলোর এখন কোনো অস্তিত্বই নেই। সিটি করপোরেশনগুলোর  সঠিক তদারকির অভাব ও মানুষের অসচেতনতার কারণে নেশাগ্রহণকারীরা এসব ডাস্টবিন  চুরি করে নিয়ে যায়। যার কারণে প্রকল্পটি টেকসই হয়নি। এরপর উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) গুলশানের বিভিন্ন সড়কে প্রায় ১০০টি স্মার্ট ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়। বলা হয়েছিল, এগুলো চুরির চেষ্টা করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এই ডাস্টবিনগুলো চুরি না হলেও নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে ময়লা-আবর্জনায় ভরে এখন প্রায় অকেজো হয়ে গেছে।

রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পুরো টালমাটাল অবস্থা। একজন মানুষ কোথায় ময়লা ফেলবে এই ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত সিটি করপোরেশন করতে পারেনি। যদিও এই ময়লাকে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সম্পদে পরিণত করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংগৃহীত ময়লা-আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ ও জৈব সার উৎপাদন করা সম্ভব।

আই.কে.জে/   

যত্রতত্র ময়লার স্তুপ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন