ছবি: সংগৃহীত
ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন হচ্ছে। এতে ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় কমিয়ে আনা হচ্ছে। আর শিশু ধর্ষণের মামলার বিচার আলাদাভাবে করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হচ্ছে।
সোমবার (১৭ই মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (২০শে মার্চ) চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে প্রাণ হারানো আট বছরের শিশুটির ঘটনাসহ নারী নিপীড়নের বেশ কিছু ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দিন আগেই আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় কমিয়ে অর্ধেক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তিনি জানান, বিদ্যমান আইন পরিবর্তন করে এসব মামলায় তদন্তের সময় ৩০ থেকে কমিয়ে ১৫ দিন করা হচ্ছে। আর বিচার শেষ করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে। এ ছাড়া ডিএনএ সনদের পরিবর্তে শুধু চিকিৎসা সনদ ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচারক এ মামলার বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন।
এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে সোমবারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন অধ্যাদেশের খসড়ায় কী কী আছে, সেসব বিষয়ে তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, আগেই দুটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এই আইনে বিচার ও তদন্তের সময় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খসড়ায় শিশু ধর্ষণের মামলার বিচার আলাদাভাবে করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সবাই (উপদেষ্টারা) নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন