শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** পাকিস্তানের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধানের *** মানচিত্র থেকে পাকিস্তানকে মুছে ফেলার হুমকি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান *** ফ্লোটিলা বহর আটকের তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশ *** ভারতের ধনী নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৫০১৭০ কোটি নিয়ে শীর্ষে জয়শ্রী, ষষ্ঠ বলিউড নায়িকা *** ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিশিয়াল বল ট্রাইওন্ডা আসলে কী *** যেভাবে আসামে হিন্দু-মুসলিম বিভাজিত সমাজে ঐক্যের সুর হয়ে উঠলেন জুবিন গার্গ *** ফ্লোটিলার সর্বশেষ জাহাজটির বর্তমান অবস্থান, স্টারলিংকের ইন্টারনেট এখনো সচল *** মাথা ঠান্ডা করে আরামে ঘুমান, নিজেদের সমস্যায় মন দিন—পশ্চিমা নেতাদের পুতিন *** বাড়লে গরম, বাড়ে চিনি খাওয়াও—বিস্ময়কর তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা *** কাশ্মীরের সবচেয়ে আলোচিত বিচ্ছিন্নতাবাদী ছিলেন ভারতীয় গুপ্তচর—বিস্ফোরক দাবি

৩০ বছরের হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নিল শিশু

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৫৬ অপরাহ্ন, ৩১শে জুলাই ২০২৫

#

প্রতীকী ছবি

আমেরিকার ওহাইও অঙ্গরাজ্যের এক দম্পতির কোলজুড়ে এসেছে একটি পুত্রসন্তান। আশ্চর্যের বিষয় হলো—সদ্য জন্ম নেওয়া এই শিশুটির ভ্রূণ হিমায়িত অবস্থায় প্রায় ৩০ বছর ধরে সংরক্ষিত ছিল। খবর বিবিসির।

ধারণা করা হচ্ছে, এটাই সফলভাবে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে হিমায়িত ভ্রূণ হিসেবে থাকার রেকর্ড। এর আগে ১৯৯২ সালে হিমায়িত হওয়া একটি ভ্রূণ থেকে ২০২২ সালে জন্ম নেওয়া যমজ শিশুরাই ছিল এই রেকর্ডের ধারক।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১শে জুলাই) বিবিসি জানিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী লিন্ডসে এবং ৩৪ বছর বয়সী টিম পিয়ার্স গত শনিবার তাদের সন্তান থ্যাডিউস ড্যানিয়েল পিয়ার্সকে জন্ম দিয়েছেন। এই বিষয়ে বিজ্ঞান সাময়িকী ‘এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ’-কে লিন্ডসে বলেছেন, ‘আমার পরিবার ভাবছে এটা যেন কোনো সায়েন্স ফিকশন সিনেমার ঘটনা!’

পিয়ার্স দম্পতি দীর্ঘ সাত বছর ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। শেষে তারা ১৯৯৪ সালে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের (আইভিএফ) মাধ্যমে তৈরি হওয়া একটি ভ্রূণ দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভ্রূণটি তৈরি করেছিলেন সেই সময়ের ৩১ বছর বয়সী লিন্ডা আর্চার্ড নামে এক নারী। বর্তমানে তার বয়স ৬২ বছর।

লিন্ডা সেই সময় মোট চারটি ভ্রূণ তৈরি করেছিলেন—এর একটি থেকে জন্ম নেয় তার বর্তমান ৩০ বছর বয়সী কন্যা, আর বাকি তিনটি ভ্রূণ হিমায়িত অবস্থায়ই সংরক্ষিত ছিল।

বিবিসি জানিয়েছে, এক সময় লিন্ডা ও তার স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তারপরও তিনি ওই তিনটি ভ্রূণ নষ্ট করতে বা গবেষণার জন্য দান করতে কিংবা অজানা কোনো দম্পতিকে দিতে চাননি। কারণ এই ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুর সঙ্গে তার কন্যার রক্তের সম্পর্ক থাকবে—এমনটিই ছিল তার ভাবনা।

তবে ভ্রূণগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার ডলার ব্যয় করেছেন লিন্ডা। শেষ পর্যন্ত ‘নাইটলাইট’ নামে একটি খ্রিষ্টান ভ্রূণ দত্তক সংস্থার সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। এই সংস্থাটি ‘স্নোফ্ল্যাকস’ নামে একটি বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করে।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে কেউ যদি ভ্রূণ দান করতে চান, তবে তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী গ্রহীতা পরিবার নির্বাচন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দাতা দম্পতি গ্রহীতা পরিবারের ধর্ম, জাতি এবং জাতীয়তার মতো বিষয়গুলোতে নিজেদের পছন্দ জানাতে পারেন।

লিন্ডা আর্চার্ড চেয়েছিলেন একজন বিবাহিত, খ্রিষ্টান, ককেশীয় দম্পতি, যারা আমেরিকায় থাকেন। এভাবেই শেষ পর্যন্ত তিনি যুক্ত হন পিয়ার্স দম্পতির সঙ্গে। পরে টেনেসি রাজ্যের ‘রিজয়েস ফার্টিলিটি’ ক্লিনিকে এই ভ্রূণ স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।

ভ্রূণ দত্তক নেওয়া লিন্ডসে পিয়ার্স বলেন, ‘আমরা কোনো রেকর্ড ভাঙতে চাইনি। আমরা শুধু একটি সন্তান চাইছিলাম।’ দাতা লিন্ডা আর্চার্ড এখনো তার ‘ভ্রূণসন্তান’ থ্যাডিউসকে সরাসরি দেখেননি, তবে ধারণা করছেন, শিশুটির চেহারার সঙ্গে তার মেয়ের অনেক মিল রয়েছে।

জে.এস/

ভ্রূণ থেকে শিশুর জন্ম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250