বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এই সরকারের এক্সিট পলিসি চিন্তা করার সময় এসেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি *** ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা চান দেশটির ৩১ বিশিষ্ট নাগরিক *** এক সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপকে চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে *** তিন বাহিনীর প্রধান নিয়োগ রাষ্ট্রপতির হাতে রাখার প্রস্তাব *** ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন উমামা, যোগদানের আহ্বান ফেসবুকে *** ১৫ই আগস্টের মধ্যে চাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা *** ‘প্রিয় বন্ধু’ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের *** আইন ও বিচার বিভাগে পদায়ন বিধিমালা জারি *** এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন ছাত্রদলের

পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দরকার সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সমন্বয়

উপ-সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের উদীয়মান শিল্পের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পর্যটন শিল্প। দেশের মোট জিডিপির শতকরা চার দশমিক চার শতাংশ আসে এই পর্যটন শিল্প থেকে। এই শিল্পকে আরো অধিকতর উন্নত করে দেশের মানুষের বেকারত্ব দূর করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু সরকারের সঠিক পরিকল্পনার অভাব, মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা ও উদাসীনতার কারণে বারবার হোঁচট খাচ্ছে পর্যটন শিল্প।

পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, হাওড়, হাজার বছরের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসহ হাজারো সৌন্দর্যময় স্থান নিয়ে বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশ। এ দেশে রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। কিন্তু এই অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে অবকাঠামো উন্নয়ন, মানসম্মত রাস্তা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বাজেটের ঘাটতি, দক্ষ জনবলের অভাবসহ নানা প্রতিকূলতা রয়েছে। এসব কারণে বিদেশী পর্যটকরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে না, বরং এ দেশের বহু লোক অবকাশ যাপনে বিদেশে চলে যাচ্ছে।

বর্তামানে বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা প্রায় দেড়শ কোটি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যা ২০২৫ সালে গিয়ে দাঁড়াবে একশত ষাট কোটিরও বেশি। এই বিপুল সংখ্যার তিয়াত্তর শতাংশই এশিয়ার দেশগুলোতে ভ্রমণ করবে।বাংলাদেশ যদি এই বিশাল বাজার ধরতে পারে তাহলে পর্যটনের হাত ধরেই বদলে যেতে পারে দেশের অর্থনীতি।

পর্যটন শিল্পের বিকাশে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধু পাকিস্তানের উপরে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রায় সব অর্থাৎ নব্বই থেকে পঁচানব্বই শতাংশ পর্যটক দেশের মধ্যে ভ্রমণ করেন। সে জন্য পর্যটন আয়ের বেশির ভাগই আসছে দেশীয় উৎস থেকে। বিদেশিদের এখনো আকর্ষিত করা যায়নি বলেই এই শিল্পে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। 

পর্যটন শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, ভূটান, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকার মতো দেশগুলো তাদের অর্থনীতি শক্তিশালী করেছে। দুবাই, কাতার, সৌদিআরব, মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও পিছিয়ে নেই। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রচারের কোনো উদ্যোগ নেই।অথচ আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল বিবিসি, সিএনএন, ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফির মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের সমাজ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসহ প্রাকৃতিক রূপ দেখানো হচ্ছে। এমন উদ্যোগ বাংলাদেশের নেই।

অপার সৌন্দর্যের লীলা ভূমি বাংলাদেশ।যার পর্যটন শিল্পের রয়েছে প্রচুর সম্ভাবনা। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য দরকার সমন্বিত মহাপরিকল্পনা। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে প্রচার-প্রচারণার উপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।শিল্প উন্নয়নের পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আই.কে.জে/


পর্যটন শিল্প

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন