বুধবার, ২২শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর: নাহিদ *** শুক্র ও শনিবার বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে *** সেন্ট মার্টিন নিয়ে ১২ নির্দেশনা সরকারের, প্রজ্ঞাপন জারি *** সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের রাতযাপন নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা *** ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত উপদেষ্টাদের জেলে যেতে হতে পারে’ *** ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বলায় ভারতে মুসলিমদের সঙ্গে যা ঘটছে *** বিতর্কিত উপদেষ্টাদের নির্বাচনের আগে সরে যেতে হবে: আমীর খসরু *** বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি, নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে: আইন উপদেষ্টা *** ফেব্রুয়ারিতে উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সরকার সব কিছু করছে: প্রধান উপদেষ্টা *** বাবা হয়েছেন গায়ক জেমস, জানালেন নতুন বিয়ের খবর

জেগে উঠল ৩০০ বছরের পুরোনো শহর

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫৮ অপরাহ্ন, ১লা মে ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিপাইনে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো শহরের ধ্বংসাবশেষের আবারও দেখা মিলেছে। একটি কৃত্রিম হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় শহরটি এখন দৃশ্যমান।

খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা শহরটি দেখতে সেখানে ভিড় করছেন। এক সময়ের বিশাল অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষের ওপর উঠে অনেকে ছবি তুলে রাখছেন।

তীব্র তাপপ্রবাহে একটি বড় বাঁধের ভেতরের জলাধার শুকিয়ে গেছে। ওই বাঁধ নির্মাণের ফলে ১৯৭০ এর দশকে প্রাচীন পান্তাবঙ্গন শহরটি নিমজ্জিত হয়। কিন্তু আবহাওয়া শুষ্ক, গরম ও খরায় হঠাৎ শহরটি দৃশ্যমান হয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বেশ কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।

ফিলিপাইনে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। দেশের প্রায় অর্ধেক অঞ্চল খরার সম্মুখীন। কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। বলা হচ্ছে, কিছু শহরে এতই গরম যে, সেখানে শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে।

আরো পড়ুন ‍: মহাকাশ থেকে পৃথিবীর যেসব স্থান দেখা যায়

চরম তাপপ্রবাহ লক্ষাধিক মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করেছে। বন্ধ রাখতে হচ্ছে স্কুল। অনেক অফিসের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, এ পরিস্থিতি সহসা কাটছে না। আগামী দিনে গরম আরও বাড়তে পারে।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেশটির বাঁধ পরিচালনাকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থার একজন প্রকৌশলী মারলন প্যালাডিন বলেন, বাঁধটি নির্মাণের পর এবারই শহরের বেশ বড় অংশ পানির উপরে রয়েছে।

রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া অফিসের আবহওয়াবিদ বেনিসন ইস্তারেজা বলেন, পান্তাবঙ্গন বাঁধ ছাড়াও অন্যান্য ড্যামের পানি আশঙ্কাজনক হারে শুকিয়ে যাচ্ছে। সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে সেখানকার পানির স্তর স্বাভাবিক উচ্চ মাত্রা ২২১ মিটার থেকে প্রায় ৫০ মিটার কমেছে।

ইতিহাস বলছে, ১৬৪৫ সালে স্প্যানিশ মিশনের এক পুরোহিত পান্তাবাঙ্গানে বসতি স্থাপন করেন। ধীরে ধীরে এটি গ্রামে পরিণত হয়। এরপর ১৭৪৭ সালে এলাকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিপাইনের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়।

১৯০০ সালে পান্তাবঙ্গন আনুষ্ঠানিকভাবে শহরের মর্যাদা পায়। এ শহরটি ঘিরে ফিলিপাইনের বাসিন্দারা আগ্রহ ও কৌতুহল রয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন শহরটির ধ্বংসাবশেষ যথাযথভাবে সংরক্ষণে দাবি জানিয়ে আসছে।

সূত্র : বিবিসি

এস/ আই.কে.জে/


পুরোনো শহর স্থানীয় বাসিন্দা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250