ছবি : সংগৃহীত
এবার ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতেও ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার শুরু হয়ে গেল! ড্যানিশ ব্র্যান্ড গান্নি ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হ্যান্ডব্যাগ তৈরি করেছে।
পরিবেশবান্ধব ফ্যাশনের প্রতি আগে থেকেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্র্যান্ডটি এই বৈপ্লবিক হাতব্যাগটি তৈরি করতে লন্ডনের বায়োটেক ফার্ম মডার্ন সিন্থেসিসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। লন্ডন ডিজাইন ফেস্টিভ্যালে প্রথম এই ‘বাও ব্যাগ’টি উন্মোচন করা হয়। বাণিজ্যিকভাবে আগামী বছর থেকে বাজারে এই ব্যাগ মিলতে পারে।
অবশ্য ব্যাগটি দেখে বোঝার উপায় নেই এটি ব্যাকটেরিয়াল লেদার থেকে উদ্ভুত; একদিকে যেমন ফ্যাশনেবল, তেমনি এর উপাদান টেকসইও।
কিন্তু ব্যাকটেরিয়া থেকে কীভাবে হাতের ব্যাগ তৈরি করা সম্ভব! এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ন্যানো সেলুলোজ। নির্দিষ্ট প্রজাতির কিছু ব্যাকটেরিয়া থেকে এই ফাইবার (তন্তু) প্রস্তুত করা হয়। একে এমনভাবে বোনা হয় যে দেখে সত্যিকারের চামড়ার সঙ্গে পার্থক্য পাওয়া যাবে না।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, জেনুইন লেদারের চেয়ে এই ফাইবার উৎপাদনের সময় প্রায় ৬৫ গুণ কম গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়।
আরো পড়ুন : মন্দিরের এসির পানি পানের হিড়িক!
গান্নি এবং মডার্ন সিন্থেসিস মিলে প্লাস্টিক নির্মূলের জন্য কাজ করছে। অন্যান্য টেকসই উপকরণের মতো স্থায়িত্বের জন্য তাদের তৈরি ব্যাকটেরিয়া লেদার তাই প্লাস্টিক আবরণের উপর নির্ভর করে না। ফলে একেবারে খাঁটি, নির্ভেজাল, এবং পরিবেশবান্ধব ফ্যাশন স্টেটমেন্ট বলা যায় হ্যান্ডব্যাগটিকে।
এই লেদার উৎপাদনের জন্য সুতার খাঁজে ব্যাকটেরিয়া জন্মানো হয় এবং সেগুলোকে কৃষি বর্জ্য খেতে দেওয়া হয়। এরপরই অণুজীবগুলো তাদের 'ম্যাজিক' দেখানো শুরু করে। এতে তৈরি হয় ন্যানোসেলুলোজ, যা তার ওজনের তুলনায় ইস্পাতের চেয়ে আট গুণ বেশি শক্তিশালী একটি উপাদান। কাঠামোতে ব্যবহৃত সুতার ওপর নির্ভর করে এটি বায়োডিগ্রেড বা পুনরায় ব্যবহৃত হতে পারে।
ফ্যাশন শিল্প পৃথিবীর অন্যতম দূষণকারী খাত। তবে গান্নির এই ব্যাগ টেকসই ফ্যাশন ধারাকেই সমর্থন করে।
সূত্র: ওয়্যারড
এস/ আই.কে.জে