ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলো ও জনগণকে ঐক্যের জায়গায় পৌঁছাতে হবে। তবেই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ই মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, যেসব রাজনৈতিক শক্তি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সংগ্রাম করেছে, তাদের সবারই চাওয়া এমন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, যেখানে নাগরিক অধিকার সুরক্ষার জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকবে। সেই সঙ্গে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থাও থাকবে। একজন ব্যক্তি, যিনি প্রধানমন্ত্রী হন কিংবা যা-ই হন না কেন, তিনি যেন ক্ষমতার ঊর্ধ্বে বা ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত হয়ে না যান।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলাদেশকে একটি আদর্শ জায়গা বলে বিবেচনা করতে পারে। এ দেশের জনগণকে কিংবা তরুণ প্রজন্মকে যেন আর কখনোই অধিকার আদায়ের জন্য প্রাণ দিতে না হয়।’
এদিকে আজকের আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেন।
আরএইচ/