ছবি: সংগৃহীত
এস আলম গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানের সুদসহ প্রায় ৭ হাজার ৭১ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটিত হয়েছে। ফাঁকি দেওয়া টাকা উদ্ধারে প্রতিষ্ঠান দুটির বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) লক (স্থগিত) করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ (অপ্রচলনযোগ্য) করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের অধীন পটিয়া ভ্যাট বিভাগ থেকে এরই মধ্যে দেশের ৫৭টি ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান দুটি হলো— এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড।মূসক আইনের ধারা ৯৫ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠান বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ না করলে সহযোগী প্রতিষ্ঠানেরও বিআইএন লক করা যায়। এস আলমের ওই দুই প্রতিষ্ঠান বকেয়া ৭ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেনি।
এদিকে, গ্রুপটির সহযোগী ৯টি প্রতিষ্ঠানের আরও এক হাজার ৪১২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটন ও দাবিনামা জারি করা হয়েছে বলেও একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এনবিআর সূত্র বলছে, নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্যাট রিটার্নে কম ক্রয়-বিক্রয় দেখানোসহ বিভিন্ন উপায়ে ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কোম্পানি দুটি মোটা অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানি দুটি তিন হাজার ৫৩৯ কোটি ৩১ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার কারণে তাদের জরিমানা করা হয়েছে তিন হাজার ৫৩১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ফলে জরিমানাসহ কোম্পানি দুটির মোট ফাঁকি দেওয়া টাকার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৭১ কোটি ১২ লাখ। পটিয়া ভ্যাট বিভাগ এ নিরীক্ষা সম্পন্ন করে। পরে উদ্ঘাটিত রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার তথ্য যাচাইয়ে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন
এসি/ আই.কে.জে/