ছবি: সংগৃহীত
নওগাঁয় এবার একটানা ঘনকুয়াশা ও দীর্ঘমেয়াদী শৈত্যপ্রবাহ না থাকায় এবং উন্নতমানের বীজের কারণে গাজরের অধিক ফলন হয়েছে।
গাজর চাষ হয় সবচেয়ে বেশি মান্দা উপজেলায়। পরিশ্রম ও খরচ কম, উৎপাদন বেশি এবং ভালো দাম পাওয়ায় এ জেলায় গাজর চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। চলতি মৌসুমে মান্দা উপজেলায় প্রায় ৬০০ বিঘা জমিতে গাজরের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বিলকরিল্যা, কুসুম্বা, বাদলঘাটাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে এ ফসলের চাষ বেশি হয়ে থাকে। এ উপজেলা থেকে অন্তত ৭২ হাজার মণ গাজর উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা।
উপজেলার বিলকরিল্যা গ্রামের কৃষক হানিফ উদ্দিন মণ্ডল বলেন, এবারে আমি ১৫ বিঘা জমিতে গাজরের চাষ করেছি। হালচাষ, সার, বীজ, কীটনাশক ও পরিচর্যাসহ প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি উৎপাদন হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ মণ। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় আমার ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাভ থাকবে।
কুশুম্বা গ্রামের গাজর চাষী নিজাম উদ্দিন বলেন, গত বছর তিনি ৬ বিঘা জমিতে গাজর চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছিলেন। সেই আশা থেকে এ বছর বাড়তি ৯ বিঘাসহ মোট ১৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। মৌসুমের শুরুতে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন।
বিলকরিল্যা গ্রামের কৃষক আবুল বাশার বলেন, প্রতিবারের মতো এবারেও গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে ৯টি মেশিনের সাহায্যে গাজর পরিষ্কারের কাজ চলছে। এজন্য একমণ গাজরে দিতে হচ্ছে ২৫ টাকা করে। প্রতিদিন এসব পয়েন্টে অন্তত ২ হাজার মণ গাজর প্রসেসিং করা হয়। এরপর ট্রাকে করে নওগাঁ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: তিন দিবস সামনে রেখে গদখালীতে শত কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার প্রস্তুতি
মান্দার গাজর ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ হোসেন বলেন, সরাসরি জমি থেকে গাজর সংগ্রহ করা হয়। আবার কৃষকরা বাজারে নিয়ে গিয়েও বিক্রি করেন। এসব গাজর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। প্রতিদিন এ এলাকা থেকে অন্তত ৫ লাখ টাকার গাজর বেচাকেনা হচ্ছে।
এসি/ আই.কে.জে