সোমবার, ২৩শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের দাওয়াত খেয়েও নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:১৩ অপরাহ্ন, ৭ই জানুয়ারী ২০২৫

#

ছবি : সংগৃহীত

চলছে বিয়ের মৌসুম, কিন্তু অনেকে ওজন বাড়ার ভয়ে বিয়ের দাওয়াত খেতে ভয় পাচ্ছেন! আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হোন তাহলে ভয়ের কিছুই নেই, বিয়ের দাওয়াত খেয়েও নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন! 

বিয়েবাড়ির আয়োজন মানেই এলাহি কারবার। থাকে পোলাও, রোস্ট, বিরিয়ানি কিংবা তেহারির মতো খাবার। বোরহানি এবং অন্যান্য পানীয়ে থাকে চিনি, আবার শেষপাতেও চাই মিষ্টান্ন। অর্থাৎ সবই উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন খাবার। শসা, টমেটো, গাজরের সালাদও অবশ্য থাকে। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ হিসেব কেবল এই ‘সালাদ’ খেয়ে চলে এলে কিন্তু বিয়ের আয়োজকদের মুখ ভার! তাই বিয়ের দাওয়াত খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আপনাকে ক্যালরির হিসাব-নিকাশের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিমন্ত্রণে গিয়ে কী খাবেন, কতটা খাবেন, আর কী খাবেন না কিংবা নিমন্ত্রণের দিন অন্যান্য বেলায় আপনার খাবারদাবার কেমন হবে, এমন সব বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন আজ। 

খাবারদাবার

দাওয়াতে গিয়ে শর্করাজাতীয় খাবার নিন কম। তেল-চর্বির পরিমাণের দিকেও খেয়াল রাখুন। অর্থাৎ পোলাও-জাতীয় খাবার কম খান। মাংস খেতে পারেন, তবে তেলতেলে ঝোল কিংবা চর্বিযুক্ত মাংস খাবেন না। লাল মাংসের বড় টুকরা না নেওয়াই ভালো। আলু নেবেন না। মিষ্টান্ন এড়িয়ে চলুন। মিষ্টি দইও খাবেন না। রুটিজাতীয় খাবারের ব্যবস্থা থাকলে পোলাও-বিরিয়ানির বদলে সেটিই খান। গ্রিল করা মাংস নেওয়ার সুযোগ থাকলে রোস্টের বদলে সেটিই নিন। খাবারের সঙ্গে ‘সালাদ’ নিন বেশি করে। আচার বা চাটনি নিলেও তা অবশ্যই খুব সামান্য পরিমাণে। কোনো কোনো আয়োজনে মূল খাবারের আগে নাশতা হিসেবে কেক, পিঠা কিংবা তেলেভাজা খাবার থাকে। এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।

আরো পড়ুন : শীতকালীন সবজি সারা বছর সংরক্ষণ করবো কিভাবে?

পানীয়

কোমল পানীয়, শরবত, এমনকি বোরহানিতেও চিনি মেশানো থাকে। এগুলো না খাওয়াই ভালো। কোনো কোনো আয়োজনে কফির ব্যবস্থা থাকতে পারে, কিন্তু সেখানেও চিনি ছাড়া কফি নেওয়ার সুযোগ না-ও মিলতে পারে। তার চেয়ে বরং অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রথমে এক গ্লাস পানি চেয়ে নিতে পারেন। তাহলে খাবারের পরিমাণ কম রাখা সহজ হবে।

সুস্থতার আয়োজন

যেদিন রাতে নিমন্ত্রণ রয়েছে, আপনি হয়তো সেদিনটিতে ক্যালরির পরিমাণ কমানোর জন্য সারা দিনে প্রায় কিছুই না খেয়ে থাকার পরিকল্পনা করছেন। এমন ভাবনা কিন্তু একেবারেই ভুল। কারণ, ক্ষুধা নিয়ে নিমন্ত্রণ খেতে গেলে সারা দিনের স্বাভাবিক খাবারের চেয়েও বেশি ক্যালরির খাবার খেয়ে ফেলতে পারেন। এটি ঠিক স্বাস্থ্যকর না। বরং সারা দিনের খাবারে খানিকটা কম ক্যালরি গ্রহণ করতে পারেন। সেদিন সালাদ বা শাকসবজি খেতে পারেন অন্য দিনের চেয়েও একটু বেশি। ভাতজাতীয় খাবার কম খাওয়া ভালো। সেদিনকার শরীরচর্চার মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। এমনকি এই চর্চা নিমন্ত্রণের আগে-পরের কয়েকটা দিনজুড়েও বজায় রাখতে পারেন।

এস/ আই.কে.জে/ 


ওজন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন