ছবি: সংগৃহীত
কাঁচা-পাকা সব রকম কলাই স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারি। কলা এমন একটি ফল, যা পেট ভরায়, পুষ্টিগুণ জোগায়, শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কলার মতো এর খোসারও নানা গুণ রয়েছে। ঘরের কাজ থেকে শুরু করে রূপচর্চা—সব ক্ষেত্রেই কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।
যেসব কাজে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়-
সুস্বাদু খাবার: কাঁচকলার খোসা ফেলে না দিয়ে কুচিয়ে ভাপিয়ে নিন। সঙ্গে অল্প কালো জিরা, গোলমরিচ গুঁড়ো, পেঁয়াজ, রসুন ও তেল দিয়ে রান্না করে ফেলুন চমৎকার ভর্তা। এর সঙ্গে চিংড়িও দিতে পারেন। তাতে রান্নার স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।
জুতার যত্ন: চামড়ার জুতার দাগ তুলতে কলার খোসাকে ব্যবহার করা যেতেই পারে। পাকা কলার খোসার ভেতরের অংশ জুতার উপরে কিছু ক্ষণ ঘষুন। তারপর পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এতে জুতা সহজেই চকচকে হয়ে যাবে।
সার: কলার খোসায় থাকা পটাশিয়াম ও সোডিয়াম খুব ভালো বায়োডিগ্রেডেবল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। বাগানে ফুল গাছে সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা।
দাঁতের উজ্জ্বলতা: দাঁতে হলুদ ছোপ পড়েছে? এ ক্ষেত্রেও কাজে আসতে পারে কলার খোসা। প্রতিদিন সকালে কলার খোসার ভেতরের অংশ দাঁতে কিছুক্ষণের জন্য ঘষুন। তারপর টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। এভাবে ব্যবহার করলে এক সপ্তাহের মধ্যে দাঁতের উজ্জ্বলতা ফিরবে।
ত্বকের যত্ন: কলার খোসা বেটে তার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। এতে মুখের কালো দাগ বা বলিরেখা সহজে দূর হবে। ত্বককে মসৃণ করতেও কলার খোসা অত্যন্ত দরকারি। শুষ্ক ত্বকে কলার খোসার ভেতরের অংশ লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে এলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক মোলায়েম হবে, উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন