ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার খ্যাতনামা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে সরকারের পরিকল্পনা সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন দেশটির আদালত। গতকাল শুক্রবার (২৩শে মে) আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরের একটি আদালত এ আদেশ দেন। খবর বিবিসির।
এদিকে গতকাল হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষের মামলায় বলা হয়, কলমের এক খোঁচায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক–চতুর্থাংশ শিক্ষার্থীকে ‘মুছে’ ফেলতে চাইছে সরকার। যদিও বিদেশি এ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
গত বৃহস্পতিবার (২২শে মে) এক বিবৃতি দিয়ে হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানায় আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট। আর ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বার বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে একটি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। আর সংখ্যাটি চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া মোট শিক্ষার্থীর ২৭ শতাংশের বেশি।
তবে হার্ভার্ডের করা মামলার প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের উপ–প্রেস সচিব অ্যাবিগালি জ্যাকসন বলেছেন, হার্ভার্ড যদি তাদের ক্যাম্পাসে আমেরিকা বিরোধী, ইহুদিবিদ্বেষী ও সন্ত্রাসবাদপন্থী উসকানিদাতাদের রুখতে গুরুত্ব দিত, তাহলে তারা শুরুতেই এমন পরিস্থিতিতে পড়ত না। অর্থহীন মামলা করার চেয়ে তাদের এখন ক্যাম্পসের পরিবেশ নিরাপদ করার দিকে নজর দেওয়া উচিত।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি বৈষম্যমূলক সমস্যায় জর্জরিত উল্লেখ করে ইতিমধ্যে তাদের ২৬৫ কোটি ডলারের তহবিল কমিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আর এ বিষয়টিও আদালতে তলে ধরেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরএইচ/
খবরটি শেয়ার করুন