ছবি: সংগৃহীত
ফেব্রুয়ারি মাস মানেই প্রেমের মাস। ১৩ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন উইকের শেষ দিন। প্রমিস, প্রপোজ, টেডি, হাগ পেরিয়ে শেষ দিন চলে আসে ভ্যালেনটাইন উইকের। আর এই দিনটির নাম কিস ডে।
কিস ডে উদযাপিত হচ্ছে হাতেগোনা কয়েক বছর ধরে। তবে প্রেমের বন্ধনে চুম্বনের উদযাপন আবহমান কাল ধরেই। চুমু খাওয়ার ঐতিহ্য বহু পুরোনো। এটি শুধু ভালোবাসার চিহ্ন নয়, বরং বিভিন্ন সংস্কৃতি ও সমাজে একে শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব ও আনুগত্য প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা হয়। চুমুর উৎপত্তি সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া কঠিন হলেও, ইতিহাসবিদরা মনে করেন, এটি প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বছর আগের।
ধারণা করা হয়, চুমুর রেওয়াজ ভারতে শুরু হয়েছিল। কারণ প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্য, বেদ ও মহাভারতে চুমুর উল্লেখ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এটি গ্রিক ও রোমান সভ্যতায় ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যযুগে ইউরোপে চুমু বিনিময় ছিল সামাজিক অভ্যর্থনার একটি অংশ।
কিস ডে আনুষ্ঠানিকভাবে জনপ্রিয় হয় পশ্চিমা বিশ্বে, বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায়। যদিও নির্দিষ্টভাবে কে প্রথম কিস ডে উদযাপন শুরু করেন তা জানা যায় না। তবে ১৯৯০-এর দশকে এটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমান বিশ্বে এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, সিনেমা ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের কারণে আরও বেশি প্রচলিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন আজ
চুমু খাওয়ার অনেক উপকারিতা
চুমু খাওয়ার কিন্তু বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে অনেক। চুমু শুধু ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। যেমন-
মানসিক চাপ কমায়। চুমুর সময় অক্সিটোসিন, ডোপামিন ও সেরোটোনিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা স্ট্রেস হ্রাস করে এবং সুখানুভূতি বৃদ্ধি করে। হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো। গভীর চুমু হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করে, যা রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চুমুর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বিনিময় হয়, যা শরীরকে বিভিন্ন জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। চুমুর সময় ২-৬ ক্যালোরি পর্যন্ত বার্ন হয়, যা মৃদু ব্যায়ামের মতো কাজ করে। এমনকি ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে চুমু বিনিময় আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।
এসি/ আই.কে.জে