ছবি: সংগৃহীত
সুনিতা উইলিয়ামস ও বাচ মোর গত বছর পৌঁছান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। সেখানে তাদের মাত্র ৮ দিন অবস্থান করার কথা ছিল। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে মহাকাশে আটকে আছেন তারা। খবর এনডিটিভির।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ক্রু-১০ শুক্রবার (১৪ই মার্চ) ফ্লোরিডার কেনেডি মহাকাশ কেন্দ্র থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের দিকে রওনা দেয়। এটি সেখানে নতুন মহাকাশচারীদের নেওয়ার পাশাপাশি সুনিতা ও বাচ মোর’কে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে।
তবে এ দুজন পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাদের শারীরিক কিছু পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে এনডিটিভিকে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সুনিতা উইলিয়ামস ও বাচ মোর হয়তো বেশ লম্বা সময় ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারবেন না।
তাদের পায়ের পাতা অনেক নরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা ‘বেবি ফিট’ বা শিশুর পা নামে পরিচিত। শিশুদের মতো পা নরম হয়ে যায় বলে বিষয়টিকে ‘বেবি ফিট’ বলা হয়। যখন নভোচারীরা দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকেন, তখন তাদের পা হাঁটার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা যখন পৃথিবীতে হাঁটি, তখন আমাদের পা মাধ্যাকর্ষণ ও ঘর্ষণের অনেক বাধার সম্মুখীন হয়। এতে করে পায়ের তলার অংশটি অনেক শক্ত হয়। পায়ের পাতা শক্ত হওয়ার ফলে আমরা হাঁটার সময় ব্যথা ও অস্বস্তি থেকে রক্ষা পাই।
নভোচারীরা যখন দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকেন, তখন তাদের পায়ের পাতার মোটা অংশটি পড়ে যায়। এতে পা অনেক নরম হয়ে যায়। পৃথিবীতে ফিরে এলে আবারও তলার অংশ মোটা হতে থাকে। তবে এটি মোটা হতে কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক মাসও লাগতে পারে। যার কারণে হাঁটা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া মহাকাশে থাকলে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। নাসার তথ্য অনুযায়ী, নভোচারীরা যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেন, তাহলে তাদের হাড়ের ঘনত্ব প্রতি এক মাসে এক শতাংশ করে কমে। মহাকাশে থাকলে শরীরের পেশির শক্তিও কমে। কারণ, সেখানে কোনো ভারী কাজ করা লাগে না।
মহাকাশে থাকলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণও কমে যায়। সেখানে ভারী কাজ করতে হয় না বলে এর প্রভাবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া ও ঠিকমতো তরল সঞ্চালন না হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
এইচ.এস/