ছবি: সংগৃহীত
টেসলার প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বা ১০০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার কিনেছেন কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। এক নিয়ন্ত্রক নথিতে এ তথ্য দেখা যায়। এর মাধ্যমে টেসলার ওপর মাস্কের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার হলো। তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
এই খবরের পরে গতকাল সোমবার (১৫ই সেপ্টেম্বর) দিনের শুরুর লেনদেনে টেসলার শেয়ারের দাম ৮ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।
টেসলা বর্তমানে রোবোট্যাক্সি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও রোবটিক্স নিয়ে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যে পৌঁছানোর দৌড়ে আছে। প্রতিষ্ঠানটি বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা থেকে একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে চাইছে। এলএসইজি-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মাস্কের হাতে টেসলার প্রায় ১৩ শতাংশ শেয়ার ছিল।
নিয়ন্ত্রক দাখিল অনুযায়ী, গত শুক্রবার (১২ই সেপ্টেম্বর) ২৫ কোটি ৭০ লাখ শেয়ার কেনেন ইলন মাস্ক। প্রতি শেয়ারের দাম পড়েছে ৩৭২ দশমিক ৩৭ ডলার থেকে ৩৯৬ দশমিক ৫৪ ডলারের মধ্যে।
এর আগে শুক্রবার টেসলার শেয়ারের দাম ৭ শতাংশের বেশি বেড়েছিল, যা আগের দিনের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছিল। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত টেসলার শেয়ার প্রায় ২ শতাংশ নিচে থাকলেও, তিন দিনের মধ্যে টানা তৃতীয় দিনের মতো প্রবৃদ্ধির দিকে এগোচ্ছে।
ইলন মাস্ক অনেক দিন ধরেই টেসলায় বেশি অংশীদারত্ব ও ভোটাধিকারের দাবি করে আসছেন। এমনকি তিনি হুমকি দিয়েছেন, যদি ২৫ শতাংশ ভোট ক্ষমতা না পান, তাহলে তিনি টেসলার বাইরে গিয়ে এআই ও রোবটিক্স প্রযুক্তি তৈরি করবেন।
চলতি মাসের শুরুতেই টেসলার পরিচালনা পর্ষদ মাস্কের জন্য একটি ট্রিলিয়ন ডলারের পারিশ্রমিক প্যাকেজ প্রস্তাব করে। এটি মাস্কের নেতৃত্বের প্রতি পর্ষদের ব্যাপক আস্থার প্রতিফলন, যদিও প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে প্রবল প্রতিযোগিতা ও বৈদ্যুতিক গাড়ির দুর্বল চাহিদার চাপে রয়েছে।
এদিকে মাস্কের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিক্রিতে প্রভাব পড়েছে–এমন উদ্বেগ গত শুক্রবার টেসলার বোর্ড চেয়ার রবিন ডেনহোম। তিনি বলেন, মাস্ক এখন আবার ‘প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দুতে’ রয়েছেন এবং হোয়াইট হাউসে কয়েক মাস কাটানোর পর পুরোপুরি টেসলায় মনোযোগ দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, মাস্কের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিবাদ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করে। এর ফলে কোম্পানির শেয়ারের ওপর চাপ পড়ে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন