বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** দেড় বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জয় বাংলাদেশের *** ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী *** আদালত যাদের পলাতক বলবেন তারা নির্বাচন করতে পারবেন না: আসিফ নজরুল *** নির্বাচনে প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক *** সাপে কাটা রোগীদের জন্য হাসপাতালে বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু *** জিয়ার সরকারের মন্ত্রীর ছেলে আওয়ামী লীগে, যা বললেন বিশ্লেষক *** সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝটিকা মিছিলের ভিডিও, বাস্তবে তেমন কিছু না: ডিএমপি কমিশনার *** সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে ৩৬ প্রস্তাব বিএনপির *** ভারতে ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর নতুন অস্ত্র এআই: গবেষণা *** মিরপুরেই শেষ ম্যাচ খেলতে চান সাকিব

‘আহতরা সরকারি হাসপাতালে আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন’

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, ২২শে নভেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহতদের যাচাই-বাছাই করে দ্রুত ইউনিক আইডি কার্ড দেওয়া হবে। সরকারি হাসপাতালে আইডি কার্ডধারীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আজীবন চিকিৎসা (ফাস্ট ট্র্যাক সার্ভিস) পাবেন। সরকারি হাসপাতালে যেসব চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে না বা যাবে না, সেগুলোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট চুক্তিভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হবে। সেগুলোর খরচ পরে সরকার পরিশোধ করবে।

বৃহস্পতিবার (২১শে নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিএসএল ভবনের সামনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসনের রোডম্যাপ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কেবিন ব্লক মাল্টি ডিসিপ্লিনারি হাসপাতাল হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আহতদের  যারা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন, তাদের স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী বিএসএসএমইউয়ের কেবিন ব্লকে যোগাযোগের অনুরোধ করা হচ্ছে। বিএসএমএমইউয়ের স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিচের তলাটি সম্পূর্ণ ডেডিকেটেড করা হয়েছে আহতদের আউট পেশেন্ট সার্ভিসের জন্য। পর্যায়ক্রমে সেখানে ফিজিওথেরাপি সেবা যুক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে রোবটিক্স ফিজিওথেরাপির জন্য। এজন্য যেসব যন্ত্রপাতি আছে তা বিএসএমএমইউ বা অন্য যেখানে সুবিধা হয় স্থাপন করা হবে। এই সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে প্রাথমিক পর্যায়ে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ দল আনা হবে। দেশের সব হাসপাতাল ও বিশেষায়িত  হাসপাতালগুলোকে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। আহতদের জন্য বিভাগীয় হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে ডেডিকেটেড বেড থাকবে এবং আহতরা ড্যাশবোর্ডে সহজেই দেখতে পারবেন কোথায় কোন সেবাটা পাওয়া যাবে। যারা চোখে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আনা হচ্ছে এবং  যদি প্রয়োজন হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বিদেশে সুনির্দিষ্ট হাসপাতালে আহতদের পাঠানো  হচ্ছে। আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন বেশ কয়েকজনকে বিদেশ পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে আহতদের মানসিক ট্রমা বা আঘাতের বিষয়ে চিকিৎসার জন্য ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথে একটি কেন্দ্রীয় স্থাপনা স্থাপন করা হবে এবং দেশের সরকারি বেসরকারি যারা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ আছেন তাদের এই নেটওয়ার্কের আওতায় যুক্ত করা হবে। সেখানে টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে স্ক্রিনিং হবে এবং ইন পার্সন আহতদের কাউন্সিলিয়ের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হবে।

আহতদের বিদেশে প্রেরণ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী বলেন, এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে কনফিউশন আছে, বিভ্রান্তি আছে। এটা আমরা স্পষ্ট করতে চাই, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্ট করতে চাই যার যার প্রয়োজন ও উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন রোগী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে শিফ্‌ট করা হয়েছে। আজকেও একজন যাবেন। গতকালও একজন গেছেন।

ওআ/ আই.কে.জে

বিএসএমএমইউ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250