প্রতীকী ছবি
চুল কেটে ফেলেছেন তার মা। কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কাছে অনুরোধের সুরে মেয়েটি বলছিলেন, প্রেমতো দুরের কথা তিনি ছেলেদের সঙ্গে কথাও বলবেন না। তবুও যেন তার চুল কাটা না হয়। কিন্তু মা মেয়ের কথা শুনলেন না।
এরকম একটি ঘটনা কোথায় ঘটেছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে এ নিয়ে ভিডিও সমাজিক মাধ্যমের পাতায় পোস্ট করা হলেও পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্কুলের গণ্ডি পার করে ফেলেছেন তরুণী। উচ্চশিক্ষার জন্য কলেজে ভর্তি হবেন তিনি। কিন্তু তার আগেই কড়া শাসনে তরুণীকে বেঁধে ফেললেন তার মা। কলেজে গিয়ে কোনও তরুণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যাবে না। প্রেম তো দূর অস্ত! মেয়ের প্রতি যেন কোনও পুরুষ আকৃষ্টও না হয় সে কারণে মেয়ের চুল কেটে দেন।
তরুণীর মা চাননি যে তার কন্যা কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুক। এমনকি, ছেলেরাও যেন তার কন্যার সঙ্গে মেলামেশা না করেন তাই মেয়ের চুল কেটে ফেললেন তিনি। তার ধারণা, চুল ছোট করে ফেললেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। মেয়ের চুল কাটানোর জন্য নাপিতও ডাকেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে যে, রাস্তায় একটি চেয়ারের উপর বসে রয়েছেন এক তরুণী। তার মায়ের নির্দেশে চুল কেটে চলেছেন নাপিত।
অন্যদিকে চেয়ারে বসে অঝোরে কেঁদে চলেছেন তরুণী। কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কাছে অনুরোধের সুরে তিনি বলছিলেন, ‘আমি সত্যিই ছেলেদের সঙ্গে কথা বলবো না। কিন্তু আমার চুল কেটে ফেলো না। তবুও মেয়ের কথা শুনলেন না তার মা। এসময় নাপিতকে আরও ছোট করে চুল কাটার নির্দেশ দেন তিনি। সমাজিক মাধ্যমে এই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বিতর্কের মুখে পড়েন ওই মহিলা। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ভিডিওটি সরিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্র : আনন্দবাজার
কেসি/কেবি