পাকিস্তানকে উড়িয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের। ছবি: বিসিবি
দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে অল্প রানে আটকে রেখে জয়ের অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন বোলাররা। ব্যাটাররাও দিয়েছেন প্রতিদান। নিজেদের কাজ সারলেন দারুণভাবে। পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটি আর তাওহীদ হৃদয়ের কার্যকর এক ইনিংসের সৌজন্যে ২৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে বড় জয় পেল বাংলাদেশ। ৯ বছরের বেশি সময় পর পাকিস্তানের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের ম্যাচ জিতলেন স্বাগতিকরা। সবশেষ জিতেছিলেন ২০১৬ সালের মার্চে।
আজ রোববার (২০শে জুলাই) ঢাকার মিরপুরের উইকেট ছিল কিছুটা ধীরগতির। চেনা কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিল না বাংলাদেশ। তাসকিন-মোস্তাফিজদের তোপের মুখে ১৯.৩ ওভারে ১১০ রানেই গুটিয়ে যান সফরকারীরা। কুড়ি ওভারের সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে অতিথিদের এটি সর্বনিম্ন স্কোর। পাকিস্তানের তিন ব্যাটার ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে পোঁছাতে পারেননি কেউ। ১৫.৩ ওভারে ১১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে বাংলাদেশ।
১১১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। অভিষিক্ত পেসার সালমান মির্জা প্রথম ওভারে পাকিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দেন। তার পঞ্চম বলে মিড-অনে ফখর জামানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম (১)। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও সালমানের আঘাত। এবার আউট বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস (১)। তবে এ উইকেটে কৃতিত্ব দিতে হবে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আঘাকে। স্লিপে বাজপাখির মতো ঝাঁপিয়ে বলটাকে তালুবন্দী করেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়ের ৬২ বলে ৭৩ রানের জুটিতে শুরুর বিপর্যয় সামলে জয়ের পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৩তম ওভারে হৃদয়কে বোল্ড করে পাকিস্তানকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন আব্বাস আফ্রিদি। ৩৭ বলে ৩৬ রান করে বোল্ড হন হৃদয়। ১০ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের আলী অনিকও। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সালমান দুটি ও আব্বাস নিয়েছেন একটি উইকেট।
এর আগে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। পাওয়ার-প্লেতে পাকিস্তানকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ৪১ রানে তুলে নেয় ৪ উইকেট।
খবরটি শেয়ার করুন