শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** থানা হোক ন্যায়বিচারের প্রথম ঠিকানা: আইজিপি *** জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য-২৪’ উদ্বোধন *** বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পর সোনাও জিতলেন ‘ম্যাজিক’ মারশাঁ *** নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতাকর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে এক মেজর *** জুলাই সনদ আইনের ঊর্ধ্বে: সালাহউদ্দিন আহমদ *** ইসিতে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিল বিএনপি-জামায়াতসহ ২৯ দল *** সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পর্তুগাল *** রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে উভয় কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে *** ১৮৫ বছরের পুরোনো বুনো মহিষের শিং পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর *** প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত

মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন নওগাঁর কৃষকরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩৮ অপরাহ্ন, ২৪শে আগস্ট ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

মিষ্টি কুমড়া একটি সুস্বাদু ও জনপ্রিয় সবজি। নওগাঁ জেলায় মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। নওগাঁ সদর উপজেলার কির্ত্তীপুর ইউনিয়নের কির্ত্তীপুর, হরিরামপুর, মাধাইনগর ও শালুকান গ্রামের মাঠগুলোতে কৃষকরা ব্যপকভাবে  মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। এসব গ্রামের মাঠে মাঠে কেবলই মিষ্টি কুমড়ার জাংলা। যতদূর চোখ যাবে শুধুই এ ফসলের চাষ। জাংলার উপর সবুজ লাউয়ের ডগা। আর জাংলার নিচে শুধু লাউ আর লাউ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ভরিপ-১/২০২৩-২৪ এর আওতায় নওগাঁ জেলায় মোট ৪৪০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে। এর মধ্যে কেবল নওগাঁ সদর উপজেলার এ এলাকায় চাষ হয়েছে ১২৫ হেক্টর জমিতে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে জমিতে মিষ্টি লাউয়ের চারা রোপণ করতে হয়। আর জুলাই মাস থেকে ফসল বাজারজাতকরণ শুরু হয়।

মিষ্টি লাউ একটি লাভজনক ফসল। জাংলা তৈরি, কুমড়ার জমি প্রস্তুত, পরিচর্যা, সার-কীটনাশক ইত্যাদি বাবদ প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমি থেকে কমপক্ষে ২ হাজার কেজি কুমড়া উৎপাদিত হয়ে থাকে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ২৫ টাকা হিসেবে ২ হাজার কেজি লাউয়ের মূল্য ৫০ হাজার টাকা। ফলে এক বিঘা জমি থেকে সমুদয় খরচ বাদ দিয়ে কৃষকরা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ করতে পারেন।

আরও পড়ুন: শরৎকালে যেসব ফুল ফোটে

মাধাইনগর গ্রামের এনামুল হক তার আড়াই বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। তার মোট খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। তিনি এ মওসুমে প্রায় ৫ হাজার কেজি কুমড়া বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমান বাজার অনুযায়ী তিনি কমপক্ষে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করতে পারবেন। একইভাবে হরিরামপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র মুকুল তার দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছেন মিষ্টি কুমড়া। এ জমি থেকে কুমড়া বিক্রি করে লাভ করবেন প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।   

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন  খরিপ-১ এর আওতাভুক্ত এটি একটি উপাদেয় জনপ্রিয় সবজি। যা ভিটামিন, প্রোটিন ও আয়রনসমৃদ্ধ। মানুষের শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয়। এ ফসল মোটামুটি লাভজনক হওয়ায় কৃষি বিভাগ কৃষকদের মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে উৎসাহিত করে।  

এসি/ আই.কে.জে/

কৃষক মিষ্টি কুমড়া

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন