রবিবার, ৩রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলবে ঐকমত্য কমিশন *** তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক: তারেক রহমান *** গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলাকারীদের উসকানি, স্থানীয় সাংবাদিক গ্রেপ্তার *** যাত্রীর লাগেজটি নড়ছিল, খুলতেই ভেতরে ২ বছরের শিশু *** তারেক রহমান আসবেন, আমাদের নেতৃত্ব দেবেন, পথ দেখাবেন: মির্জা ফখরুল *** ১৮ তলা থেকে পড়ে বেঁচে গেল তিন বছরের শিশু *** ট্রাম্পের হুমকিতেও রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত *** নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা *** এলপিজি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম কমল ৯১ টাকা *** নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে বিএনপির কমিটি

যেখানে তরুণদের মধ্যে এইচআইভির ওষুধ সেবনের হার বেড়ে আট গুণ

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:১৪ অপরাহ্ন, ২৪শে মে ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার তরুণদের মধ্যে এইচআইভি প্রতিরোধী ওষুধ সেবনের হার গত এক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ বছর আগের তুলনায় বর্তমানে প্রায় আট গুণ বেশি তরুণ এ ওষুধ সেবন করছেন।

এইচআইভি প্রতিরোধে ব্যবহৃত প্রি-এক্সপোজার প্রোফিল্যাক্সিস বা প্রেপ ব্যবহারে এ অগ্রগতি ইতিবাচক হলেও, গবেষণাটি বলছে—ওষুধটি নিয়মিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যকর্মী ও জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান মেডিকেল স্কুলের একটি দল। এতে ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের ওরাল প্রেপ ব্যবহারের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

গবেষণার শুরুতে অর্থাৎ ২০১৬ সালে প্রতি ১ লাখ তরুণের মধ্যে মাত্র ২৬ জন প্রেপ সেবন করতেন, যা ২০২৩ সালের শেষে বেড়ে দাঁড়ায় ২০৮ জনে। তবে দেখা গেছে, ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের তুলনায় ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রেপ সেবনের হার তুলনামূলকভাবে কম ছিল।

গবেষণায় উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হলো—এ সময়ের মধ্যে প্রেপ ব্যবহারের গড় মেয়াদ দুই সপ্তাহেরও বেশি কমে গেছে। এটি হয়তো ওষুধটি নিয়মিত গ্রহণে অনিয়মের ইঙ্গিত দেয়, কিংবা প্রয়োজনীয় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরে।

এ বয়সসীমার তরুণদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, তাই গবেষণাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ও সঠিকভাবে প্রেপ সেবন করলে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

গবেষণার প্রধান লেখক ডা. নিনা হিল জানান, তরুণরা নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যান না। ফলে প্রেপ ব্যবহারের প্রক্রিয়াটি কিছুটা জটিল হয়ে ওঠে। সঠিকভাবে প্রেপ ব্যবহার করতে হলে, একজনকে প্রথমে স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে এটি তার জন্য প্রয়োজনীয় কী না, তা নির্ণয় করতে হয়। 

তিনি বলেন, ‘এরপর চিকিৎসকের কাছে গিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা ও এইচআইভিসহ অন্যান্য যৌন রোগের পরীক্ষার পর ওষুধ নিতে হয়। এরপর প্রতি তিন থেকে ছয় মাস অন্তর এইচআইভি, কিডনির কার্যক্ষমতা ও অন্যান্য যৌন রোগের পরীক্ষাও করতে হয়।’

অনেকে প্রেপ প্রতিদিন না নিয়ে নির্দিষ্ট সময় বা যৌন সম্পর্ক স্থাপনের আগে খানিকটা অনিয়মিতভাবে নেন। তাদের জন্যও নিয়মিত চিকিৎসাসেবা এবং প্রেপের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি।

এ গবেষণায় ২ লাখ ৪০ হাজারে তরুণের কাছ থেকে সংগৃহীত প্রায় ১ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন (১৪ লাখ ৫০ হাজার) প্রেসক্রিপশনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব তরুণের গড় বয়স ছিল ২২ বছর এবং ৮৭ শতাংশ ছিলেন পুরুষ। গবেষণার নেতৃত্বে থাকা হিল জানান, কিছু নারীও এইচআইভি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন এবং তারাও প্রেপ গ্রহণে উপযুক্ত হতে পারেন।

এ তরুণদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আমেরিকার  দক্ষিণাঞ্চলে বাস করতেন—অঞ্চলটি এইচআইভি সংক্রমণের দিক থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। গবেষণার শুরুতে এ এলাকায় প্রেপ ব্যবহারের হার সবচেয়ে কম ছিল, তবে এ অঞ্চলে বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।

গবেষণাটি ‘জার্নাল অব জেনারেল ইন্টারনাল মেডিসিনে’ প্রকাশিত হয়েছে।

এইচ.এস/

এইচআইভি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন