শনিবার, ২১শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নেপালে গ্যাসের সবচেয়ে বড় খনি আবিষ্কার, সুখবর জানালেন প্রধানমন্ত্রী *** শিগগির দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: আমীর খসরু *** ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই ইরানে ভূমিকম্প *** ভারতের জন্য আকাশসীমা খুলে দিল ইরান *** খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত *** ইরানের জনগণের ওপর অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে *** ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় 'আস্থার সংকট' দেখছেন জাতিসংঘের মহাসচিব *** ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন ফ্রন্ট গড়তে ইরানের কাছে অর্থ চাইলেন জেনারেল ডাল্লা *** ইসরায়েল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতি ‘স্পষ্ট অবজ্ঞা’ দেখিয়েছে: রাশিয়া *** সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার ডিবি হেফাজতে

স্বেচ্ছামৃত্যুর যন্ত্র বানিয়ে সেই চিকিৎসক নিজেই যা করলেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৪৭ অপরাহ্ন, ৪ঠা জুন ২০২৫

#

চিকিৎসক ফ্লোরিয়ান উইলেট। ছবি: সংগৃহীত

সারকো পডের (বেদনাহীন মৃত্যু ঘটানোর যন্ত্র) মাধ্যমে সংঘটিত বিশ্বের প্রথম স্বেচ্ছামৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ফ্লোরিয়ান উইলেটও স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করে নিলেন। গত ৫ই মে জার্মানিতে তিনি বিশেষ এ পদ্ধতিতে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। গতকাল মঙ্গলবার (৩রা জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সুইজারল্যান্ডের এক জঙ্গলে সারকো পডের মাধ্যমে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করেন ৬৪ বছর বয়সী এক নারী। সে সময় ঘটনাস্থলে ওই নারী ছাড়া উপস্থিত থাকা একমাত্র ব্যক্তি ফ্লোরিয়ান উইলেট। এ ঘটনায় সেই সময় বেশ তোলপাড় তৈরি হয়। ঘটনার পরপরই উইলেটকে আটক করে সুইস পুলিশ। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আনেনি আদালত। তবে তদন্তের জন্য তাকে ৭০ দিনের বিচারপূর্ব আটক রাখা হয়।

উল্লেখ্য, সারকো পড বা সুইসাইড পড হলো বিশেষভাবে নকশা করা ক্যাপসুল আকৃতির একটি যন্ত্র, যা ব্যবহার করে দ্রুত ও ‘বেদনাহীন’ মৃত্যু নিশ্চিত করা যায়। এটি দেখতে একটি ছোট, ক্যাপসুলের মতো, যেখানে একজন ব্যক্তি শুয়ে থাকার মতো জায়গা রয়েছে। এটির মধ্যে নিয়ন্ত্রিত অক্সিজেনের পরিবেশ তৈরি করা হয়। 

ক্যাপসুলে ঢোকার পর ব্যবহারকারী একটি বোতাম চাপলেই ভেতরের অক্সিজেন দ্রুত কমিয়ে নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে পূর্ণ হয়ে যায়। এতে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে যেহেতু নাইট্রোজেন স্বাদ ও গন্ধহীন গ্যাস, তাই এতে ঘুমিয়ে পড়ার মতো মৃত্যু হয়—ব্যথাহীন, নিঃশব্দ ও দ্রুত—এমনটাই দাবি উদ্ভাবকের।

ডা. উইলেটের আত্মহত্যার পর অধিকার সংগঠন দ্য রিসোর্ট এক বিবৃতিতে জানায়, আটক থাকার সময়ের মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েন তিনি। জীবনের শেষ সময়টুকু তীব্র মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে কেটেছে। মৃত্যুর আগে একবার একটি ভবনের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুস্থ হন। এ ঘটনার পর থেকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দলের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছিল তাকে।

পরবর্তীতে ৫ই মে জার্মানিতে সহায়ক মৃত্যুর মাধ্যমে তার জীবনাবসান ঘটে। সুইসাইড পডের উদ্ভাবক এবং বিশ্বব্যাপী স্বেচ্ছামৃত্যুর প্রবক্তা ফিলিপ নিটশকে বিবিসিকে বলেন, ‘জীবনের শেষ কয়েক মাসে ফ্লোরিয়ান উইলেট এমন সব মানসিক ভার বহন করেছেন, যা একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও অসহনীয়।’

এইচ.এস/


স্বেচ্ছামৃত্যুর যন্ত্র

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন