ছবি: সংগৃহীত
বিছানার চাদর পুড়িয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (১০ই ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরের ভুবন মোহন পার্কে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি বিছানার চাদর পোড়ান।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিএনপির এই নেতা স্ত্রীর শাড়ি পুড়িয়ে দেন। তারও আগে নিজের গায়ের শাল পুড়িয়েছেন তিনি।
রিজভী বলেন, “এটা ভারতের রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের একটি টেক্সটাইলের বেডশিট। আজকে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই বেডশিট পুড়িয়ে দিলাম।”
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “ভারত আমাদের মনে করে গিনিপিগ, মনে করে তাদের অধীনস্থ দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। আমরা ৩০ লাখ জীবনের বিনিময়ে, এত নারীর সম্ভ্রমহানির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু তাদের কথা শুনে মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব তাদের কাছে বিবেচ্য নয়। আমাদের দেশের লোকজন সেখানে চিকিৎসা নিতে যায়। উদ্দেশ্য থাকে একটু চিকিৎসা নেওয়া, একটু বেড়ানো। কতটুকু মন ছোট হতে পারে তাদের।”
আরও পড়ুন: ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হলো ১৩ বছর পর
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, “আমাদের একজন ভয়ংকর ফ্যাসিস্টকে ছাত্র-জনতা তাড়িয়েছে। তিনি ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এই জন্য আমাদের এত কষ্ট, এত ব্যথা। আজগুবি অপপ্রচার দিচ্ছেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। অপতথ্য, অপপ্রচার দিয়ে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের যে ভাবমূর্তি, এখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ, এটাকে নস্যাৎ করার জন্য এটা করা হচ্ছে।”
রিজভী বলেন, “ভারত মনে করেছিল আমরা বোধ হয় তাদের ওপর নির্ভরশীল। তাদের ছাড়া চলবে না। এখন তো দেখা যাচ্ছে বিষয়টা অন্য রকম। কলকাতা নিউমার্কেট বন্ধ, হাসপাতালগুলো বন্ধের উপক্রম হয়েছে। আমাদের উপহাস করবেন, বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবেন, হাজার বছরের সম্প্রীতির দেশকে কলুষিত করবেন। আপনারা নিজেরা কলঙ্কিত। আমরা কারও অধীন থাকবো না। আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াবো। ভারতের বন্ধুত্ব তো শেখ হাসিনার সঙ্গে। সেই বন্ধু হারিয়ে ফেলেছে।”
এসি/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন