ছবি : সংগৃহীত
আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ মানসিক চাপ। মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য এই চাপ নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা চাপে থাকি, তখন আমাদের শরীর কর্টিসল নিঃসরণ করে, যেটাকে 'স্ট্রেস হরমোন' বলা হয়। সময়ের সাথে সাথে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে গেলে ওজন বৃদ্ধি, ঘুমের ব্যাঘাত এবং দুর্বলতা প্রতিরোধ ক্ষমতাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। কর্টিসলের মাত্রা কমাতে পাঁচটি প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। যেমন-
নিয়মিত ব্যায়াম করুন : শারীরিক কার্যকলাপ মানসিক চাপের একটি শক্তিশালী প্রতিষেধক। নিয়মিত ব্যায়াম যেমন- দ্রুত হাঁটা, জগিং, যোগব্যায়াম বা নাচ, কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ব্যায়াম মন-মেজাজ ভালো রাখার হরমোন এন্ডোরফিন উৎপাদনকেও উদ্দীপিত করে, যা স্ট্রেস এবং উদ্বেগ মোকাবেলায় সাহায্য করতে পারে।
মেডিটেশন: মেডিটেশন এবং গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, কর্টিসলের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন মাত্র কয়েক মিনিট সময় মেডিটেশন করলে, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে মন শান্ত থাকবে। একই সঙ্গে স্ট্রেস হরমোনের উৎপাদন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন : স্ত্রী অল্পতেই রেগে যান? যেভাবে শান্ত করবেন
পর্যাপ্ত ঘুম : কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। ঘুমের অভাব বা খারাপ ঘুমের ফলে কর্টিসলের উৎপাদন এবং স্ট্রেসের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। ভালো ঘুমের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
সুষম খাদ্য খান : কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অত্যধিক ক্যাফেইন এবং চিনি বাদ দিলে কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। গোটা শস্য, ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য বেছে নেওয়া কর্টিসলের মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ যেমন-স্যামন এবং ফ্ল্যাক্সসিডও, কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন এবং হাসুন: সামাজিক যোগাযোগ এবং প্রাণ খুলে হাসা কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জনের সাথে সময় কাটান। তাদের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিন। সুযোগ পেলেই প্রাণ খুলে সবার সঙ্গে হাসুন। হাসি এন্ডোরফিন নিঃসরণ বাড়ায়। এতে মানসিক চাপ কমে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টিভি
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন