ছবি: সংগৃহীত
যৌন মিলনের মতো ব্যক্তিগত বিষয়কেও আইনের গণ্ডিতে বাঁধার তোড়জোড় চলছে। স্ত্রীকে গর্ভবতী করে সন্তান জন্ম দেওয়ার উদ্দেশ্য না থাকলে সেক্সের পর বীর্যপাত করলেই তা অপরাধ বলে গণ্য করা হতে পারে! এর জন্য মোটা অঙ্কের জরিমানাও হতে পারে। নতুন বিলে এমনই আজব প্রস্তাব আনতে চলেছেন ওহাইয়োর দুই ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি।
‘কনট্রাসেপশন বিগিনস অ্যাট ইরেকশন অ্যাক্ট’ নামে বিল এনে পুরুষের বীর্যপাত নিয়ন্ত্রণ করার পক্ষে ডেমোক্র্যাট সিনেটর অনিতা সোমানি ও ট্রিস্টান রাডার। তাদের প্রস্তাব, বিনা কারণে স্ত্রী বা প্রেমিকার গর্ভের বীর্যপাতকে অপরাধ বলে গণ্য করে পুরুষদের ১০ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা দেওয়ার শাস্তি ধার্য হোক। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
ওহাইয়োর দুই ডেমোক্র্যাট সদস্য অনিতা সোমানি ও ট্রিস্টান রাডারের দাবি, নারীর জন্য হাজারটা আইন রয়েছে। এমনকি নারীর যৌন স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়মের বেড়াজাল রয়েছে। অথচ পুরুষের যৌন আচরণে কোথাও কোন গণ্ডি নেই। এবার এর সময় এসেছে।
বংশবৃদ্ধির জন্য ডিম্বাণু নিষিক্ত করতে চাইলে নারী শরীরে পুরুষের বীর্যপাত স্বাভাবিক। কিন্তু তার বাইরে নিজেদের সংযত করা পুরুষের কাছে কাম্য। শুধু যৌনসুখ পেতে বীর্যপাত অপরাধের তকমা দিতে হবে বলে দাবি দুই প্রতিনিধির।
এ বিষয়ে তাদের আরও যুক্তি, অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের জন্য নারীকে সমাজে অনেক সময় হেনস্তা হতে হয়। তাকেই দোষ দেওয়া হয়। অথচ যে পুরুষ তাকে গর্ভবতী করছেন, তার জন্য কোনও শাস্তি নেই আইনে।
যদি নারীকেই দোষী করা হয়, তাহলে পুরুষের জন্যও একই শাস্তির বিধান থাকুক। তবে এর ব্যতিক্রমের কথাও বলেছেন দুই ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি। বলা হচ্ছে, কোনও পুরুষ শুক্রাণু দান করতে চাইলে তিন শাস্তির বাইরে থাকবেন। এছাড়া হস্তমৈথুনের ক্ষেত্রে বীর্যপাত সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়, তা অপরাধের আওতায় পড়বে না।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন