প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)
ক্ষণিকের মনবাস
—শাহিনুর রহমান
ঝকঝক শব্দ সেদিন;
হয়ে উঠেছিল শ্রাব্য সুমধুর।
অদৃশ্য মায়ার ডোরে বেঁধেছিল ঘোর
অন্তঃযত আদিবাস ঘটেছিল ভাঙচুর।
অজ্ঞাত উদাসিনতায় পাড়ি দিয়েছিলাম,
অজানা ভালোবাসার অচিনপুর।
অচেনা পথ পরিবেষ্টিত বাতাবরণ
অনুভবে মিশে যায় অজস্র স্রোতকাল।
জীবনটা ভরে যায় পূর্ণতায়
আধো ধ্রুব আধো স্বপ্নজাল।
শুভ্র আলোকে স্নিগ্ধ চোখ জোড়ায়
ভেসে ওঠে এক আশ্চর্য কাকতাল।
আঁকাবাঁকা রেলপথ দু’ধারে বনস্পতি,
অলংকৃত করেছে পরস্পর।
এতো আলোক প্রকৃতির সাজ,
তুমিহীন সবকিছু শূন্য বালুচর।
আজন্ম তোমারি পথ চেয়ে,
আজ ঘটে গেলো অবসান শত অপেক্ষার।
একটা অজ্ঞাত সুগন্ধি অথচ চিরচেনা
সুরভিত করে চলেছে আলো-বায়ু-বাতাস।
যেটা উপভোগে শুধু নাসাগ্রন্থিই নয়,
আপাতমস্তক শরীরের প্রত্যেকটি কেশ কোষ আশ,
প্রত্যেকটি শিরা উপশিরা ধমনি,
প্রত্যেকটি শাশ্বত প্রশ্বাস,
এ যেন উন্মাদ এক মত্ত প্রয়াস।
নগণ্য আশা আর অতিকায় ন-বর্গীয়
আশঙ্কায় জীর্ণ-শীর্ণ মন।
অন্তকোষীয় দ্বিধা আর আত্মদ্রোহী দ্বন্দ্বে
নিঃশেষিত দিল ক্ষণেক্ষণ।
অটল শাসনে প্রচ্ছন্ন হৃদয়
সয়ে যায় এক নিদারুণ অন্তবেদন।
তুমি নারী,
অজান্তেই দিয়ে গেলে, নিরন্তর প্রাণের নির্যাস।
এটাই প্রথম হয়তো এটাই শেষ,
এটাই যথেষ্ট জোগাতে মননশক্তি,
সার্থক এক জীবনের বাস।
আরো পড়ুন : কবিতা : লাল সবুজ পতাকা - সিফাত রাখী
এস/ আই.কে.জে/