ছবি: বিবিসি
লন্ডনের রয়্যাল অপেরা হাউসের মঞ্চে একটি নাটকের শেষ দৃশ্যে পর্দা নামার মুহূর্তে এক অভিনয়শিল্পী হঠাৎ করেই ফিলিস্তিনি পতাকা প্রদর্শন করেছেন। বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল শনিবার (১৯শে জুলাই) রাতে লন্ডনের সম্মানজনক ওই ভেন্যুতে যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন এক কর্মকর্তা তা ঠেকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই শিল্পী পতাকাটি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে জিউসেপ্পে ভার্দির চার অঙ্কের বিখ্যাত অপেরা ‘ইল ট্রোভাতোর’-এর শেষ রাতের প্রদর্শনীতে। রয়্যাল ব্যালে ও অপেরা কর্তৃপক্ষ মঞ্চের পর্দা নামার সময় ঘটে যাওয়া এ বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত আচরণ’ বলে উল্লেখ করেছে।
একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘পতাকা প্রদর্শনের ঘটনাটি শিল্পীর একান্ত নিজস্ব এবং অনুমোদনহীন উদ্যোগ। এটি রয়্যাল ব্যালে ও অপেরা কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত নয় এবং আমাদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা রক্ষার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
ইসরায়েল ও হামাসের চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গাজাবাসীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে অনেক স্থানেই ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়াতে দেখা যায়। রয়্যাল অপেরা হাউসের ঘটনাটির একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে—ওই শিল্পী মঞ্চের পেছনে দাঁড়িয়ে নীরবেই বড় একটি ফিলিস্তিনি পতাকা মেলে ধরেন। একসময় তা আলতো করে নাড়ানও।
দর্শকরা যখন করতালিতে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন, তখন মঞ্চের পেছন থেকে এক ব্যক্তি পতাকাটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শিল্পী তা ঠেকিয়ে দেন এবং পুরো সময় তা ধরে রাখেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই সহশিল্পীকে তার দিকে ঝুঁকে পড়তে দেখা যায়। তবে সামনে থাকা অন্য শিল্পীরা মঞ্চের পেছনে কী ঘটছে, তা হয়তো বুঝতেই পারেননি।
উইংসে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মকর্তারা চিৎকার করে কিছু বলতে থাকলেও ওই শিল্পী ছিলেন অনড়। ঘটনার সময় উপস্থিত দর্শকদের কেউ কেউ বিবিসিকে জানিয়েছেন, প্রতিবাদের সময় কিছুটা দুয়ো ধ্বনি শোনা যায়। কেউ কেউ এটিকে সমর্থনও করেছেন। লন্ডনের বাসিন্দা ম্যাগদালিনি লিয়োসা ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত শক্তিশালী মুহূর্ত’ বলে বর্ণনা করেন এবং সেই শিল্পীকে ‘সাহসী’ আখ্যা দিয়েছেন।
খবরটি শেয়ার করুন