সাংবাদিক মুন্নী সাহা। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার মা-সহ ২০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩রা জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন নিষেধাজ্ঞা জারির পৃথক নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নিষেধাজ্ঞা দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
অন্য যাদের দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তারা হলেন ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, মুন্নী সাহার স্বামী কবীর হোসেন তাপস, ভাই সাংবাদিক প্রণব কুমার সাহা অপু, মা আপেল রানী সাহা ও এটিএন নিউজের ক্যামেরাম্যান তপন কুমার সাহা, ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি এম তাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী হাসু ইসলাম, ছেলে ধানাদ ইসলাম দীপ্ত, মেয়ে ফারা ইসলাম প্রভা ও শামা ইসলাম, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ এবং এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সৈয়দ ওয়াসেক মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ জহুরুল হক, আলমগীর হোসেন, মোস্তফা খায়ের আবদুল আজিজ ও মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান শাহ।
দুদকের বিভিন্ন অনুসন্ধান ও তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। পৃথক আবেদনে বলা হয়েছে, যাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে, তারা বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ দুদকে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
অনুসন্ধান কালে দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যে কোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন। তারা দেশ ত্যাগ করলে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ব্যাহত হতে পারে।
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাত। তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন, মুন্নী সাহা ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাবে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ থাকার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে ৫৫ হাজার ৩১০ রোহিঙ্গাকে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন হেলালুদ্দীন। বিষয়টি দুদক অনুসন্ধান করছে।
এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ছয়জনের আবেদনে দুদক উল্লেখ করেছে, তারা এস আলমকে বিদেশে অর্থ পাচারে সহযোগিতা করেছেন—এমন অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন