ছবি: সংগৃহীত
রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে শ্রমবিষয়ক সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে। আজ সোমবার (২১শে এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের একটা বিষয় বলেছেন—যতগুলো সংস্কার কমিশন এখন পর্যন্ত তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, এর মধ্যে এ কমিশনের বিশেষ দিক হচ্ছে, এটাতে আন্তর্জাতিক আগ্রহ আছে। তারা আসলে দেখবে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে কাজ করছে এবং যে সুপারিশগুলো দিয়েছে, সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
আজাদ মজুমদার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের পরামর্শ দিয়েছেন, এ প্রতিবেদন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে যেন কথা বলেন। যাতে করে ঐকমত্য কমিশন যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে, সেখানে যেন এ প্রসঙ্গগুলো রাখতে পারেন। শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা থাকাটাও জরুরি।
সুপারিশের বিষয় তুলে ধরে আজাদ মজুমদার বলেন, ‘তারা মূল যে সুপারিশের কথা বলেছেন, সেটি হচ্ছে সব শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা। তারা পর্যালোচনা করে দেখেছেন, আমাদের দেশে আট কোটি শ্রমজীবী মানুষ আছেন। তার মধ্যে ৮৫ ভাগ (সাত কোটি) শ্রমিকেরই কোনো আইনি সুরক্ষা নেই।
তিনি বলেন, ‘তারা সুপারিশ করেছেন, শ্রমিকদের জন্য যেন একটি আইনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের একটা সুপারিশ তারা করেছেন। যাতে করে সব ধরনের শ্রমিক যেন জাতীয়ভাবে ন্যূনতম মজুরির আওতায় আসতে পারেন। এটা নিশ্চিত করতে বলেছেন।’
উপপ্রেস সচিব বলেন, শ্রমিকদের জন্য তথ্যভান্ডার গঠনের সুপারিশ করেছেন, যাতে শ্রমিকদের পরিচয়পত্র রাখা হয়। বিভিন্ন আন্দোলনে অনেক শ্রমিকের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য দ্রুত সরকারকে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকার যেন আরও সহজ করা যায়, সেটির কথা বলা হয়েছে।
আজাদ মজুমদার বলেন, ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটির সুপারিশ শ্রম সংস্কার কমিশনসহ অন্যান্য কমিশন থেকেও এসেছে। এর বাইরে তারা শ্রমিকদের জন্য একটা সর্বজনীন তহবিল তৈরির কথা বলেছেন। শ্রমিকরা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে যেন এ তহবিল থেকে তাদের সহায়তা করা হয়।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন