পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিলেন না তাসকিনরা। ছবি: বিসিবি
ঢাকার মিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিলেন না তাসকিনরা। ১৯.৩ ওভারে ১১০ রানেই গুটিয়ে গেছেন সফরকারীরা। পাকিস্তানের তিন ব্যাটারই শুধু দুই অঙ্কের ঘরে পোঁছাতে পেরেছেন।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ রোববার (২০শে জুলাই) টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। পাওয়ার-প্লেতে পাকিস্তানকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দেয়ে বাংলাদেশ। ৪১ রানে তুলে নেয় ৪ উইকেট।
চতুর্থ বলেই উইকেট নেওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। শেখ মেহেদী বল স্লগ সুইপ করতে দিয়ে শর্ট ফাইন লেগে অনেক ওপরে তুলে দেন ফখর জামান। বল হাতের তালুতে পড়লেও বন্দী করতে পারেননি তাসকিন আহমেদ। তবে দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাসকিন। ব্যাক অব লেংথের বল ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে ধরা পড়েন সাইম আইয়ুব (৬)।
উইকেট হারালেও পাকিস্তানের রানের গতি থাকে সাবলীল। তৃতীয় ওভারে মেহেদী হজম করেন ৩টি চার। তবে ওভারের শেষ বলে ফেরান তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা মোহাম্মদ হারিসকে (৪)। মিডউইকেটে ক্যাচ নেন শামীম হোসেন।
প্রথম ৩ ওভারে ৩২ রান স্কোর যোগ করে পাকিস্তান। তবে পঞ্চম ওভারে ২ ও ষষ্ঠ ওভারে ১ রান দিয়ে উইকেট নেন সাকিব ও মোস্তাফিজ। সাকিব ৩ রানে ফেরান অধিনায়ক সালমান আলী আঘাকে। মোস্তাফিজ ফেরান হাসান নওয়াজকে (০)। অষ্টম ওভারে ৩ রানে রানআউট হয়েছেন দেড় বছর পর দলে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ নওয়াজ।
১০ম ওভারে আরও একবার মেহেদীর বলে জীবন পান ফখর। সোজাসুজি খেলেছিলেন, বল হাতে রাখতে পারেননি মেহেদী। বলের গতিও ছিল কিছুটা বেশি, উল্টো মাথার একপাশে লাগলে আঘাত পান তিনি। তবে ইনিংসের ১৩ তম ওভারে এ তাসকিনের থ্রোতে, লিটনের দারুণ স্টাম্পিংয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন ফখর। ৩৪ বলে ৪৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছক্কা।
সপ্তম উইকেটে খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদির রানের জুটিতে ১০০ পেরোয় পাকিস্তান। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোস্তাফিজের স্লোয়ারে মিডঅফে রিশাদ হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে খুশদিল আউট হলে ভাঙে জুটি। ২৩ বলে ১৭ রান আস তার ব্যাট থেকে। তিন ছক্কায় ২৪ বলে ২২ রান করেছেন আব্বাস আফ্রিদি। এ ছাড়া কেউ সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি।
২২ রান দিয়ে তাসকিন নিয়েছেন ৩ উইকেট, ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার ২ উইকেট।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন