শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** থানা হোক ন্যায়বিচারের প্রথম ঠিকানা: আইজিপি *** জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য-২৪’ উদ্বোধন *** বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পর সোনাও জিতলেন ‘ম্যাজিক’ মারশাঁ *** নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতাকর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে এক মেজর *** জুলাই সনদ আইনের ঊর্ধ্বে: সালাহউদ্দিন আহমদ *** ইসিতে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিল বিএনপি-জামায়াতসহ ২৯ দল *** সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পর্তুগাল *** রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে উভয় কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে *** ১৮৫ বছরের পুরোনো বুনো মহিষের শিং পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর *** প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত

মানবিক করিডর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো আলোচনা হয়নি: গোয়েন লুইস

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, ৫ই জুন ২০২৫

#

জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস। ছবি: সংগৃহীত

রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য করিডর হতে হলে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের চুক্তি হতে হবে। এমন চুক্তি হলে জাতিসংঘ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বুধবার (৪ঠা জুন) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস।

ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে ‘ডিক্যাব টক’ শীর্ষক এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

গোয়েন লুইস বলেন, মানবিক করিডর একটি আইনি বিষয়। এ বিষয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কোনো আলোচনা হয়নি। করিডর বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আনুষ্ঠানিক সম্মতি প্রয়োজন। সেটি হলেই কেবল জাতিসংঘ সহায়তা করতে পারে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে রাখাইনে অভাব-অনটনের কারণে ত্রাণ পৌঁছাতে ‘মানবিক করিডর’ চালুর কথা সাংবাদিকদের জানান।

সশস্ত্র বাহিনীসহ বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি উঠলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, করিডর নয়, ‘মানবিক চ্যানেল’ চালু করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে।

দুই উপদেষ্টা বলেন, সরকার রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার সঙ্গে সেখান থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি যুক্ত করার চেষ্টা করছে। তারা বলেন, রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়া গেলে সেখানকার পরিস্থিতি ভালো হতে পারে। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হতে পারে।

মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও তাদের স্থানীয় দোসরদের নির্যাতনের মুখে রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ১২ লাখ মানুষ গত ৯ বছরে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। তাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের চুক্তি হলেও এ পর্যন্ত একজনও সেখানে যাননি।

এইচ.এস/

জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন