ছবি : সংগৃহীত
শীতকালে শরীর স্বাভাবিকভাবেই ত্বকে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে (ভাসোকনস্ট্রিকশন) এবং তাপ হ্রাস রোধ করে আপনাকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করে। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে উষ্ণ এবং ভালোভাবে পারফিউজ রাখার জন্য শরীরের রক্ত সরবরাহ হ্রাস করার প্রবণতা রয়েছে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম হতে পারে। নিম্ন তাপমাত্রা এবং শুষ্ক বায়ু সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ঠান্ডা, শুষ্ক পরিবেশ কোলনকে ডিহাইড্রেট করতে পারে, যা মলকে আরও কঠিন এবং পাস করা আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত সার্কাডিয়ান রিদম এবং প্রদাহ বৃদ্ধি সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তোলে। হার্ভার্ড পাবলিশিং স্কুলের মতে, হরমোনের ওঠানামা, ওষুধ এবং অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যের অবস্থাও শীতের কোষ্ঠকাঠিন্যকে তীব্র করে তুলতে পারে। এসময় শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় জেনে নিন-
আরো পড়ুন : খেজুরের রস খাওয়ার আগে যেসব সতর্কতা মেনে চলবেন
নিয়মিত ব্যায়াম
অলস জীবনযাপন মলত্যাগের গতি কমিয়ে দেয়। আপনি ধীরে ধীরে শুরু করতে পারেন এবং ব্যায়ামের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম হতাশা মোকাবিলায় অত্যাবশ্যকীয় এন্ডোরফিনকেও বাড়িয়ে দেয়।
ফাইবার সমৃদ্ধ ডায়েট
বিভিন্ন ধরণের ফল, শাক-সবজি এবং গোটা শস্য জাতীয় খাবার রাখুন আপনার খাবারের তালিকায়। নিয়মিত এগুলো খান এবং পার্থক্যটি নিজেই দেখুন। মসৃণ হজম নিশ্চিত করার জন্য সুষম খাদ্য অপরিহার্য।
হাইড্রেটেড থাকুন
প্রচুর পানি এবং তরল পান করা অপরিহার্য। পর্যাপ্ত তরল না খাওয়ার অভ্যাস ডিহাইড্রেশনে অবদান রাখতে পারে, যা আপনার অন্ত্রকে শুষ্ক করে দিতে পারে এবং মলত্যাগের গতি কমিয়ে দিতে পারে। হাইড্রেটেড থাকলে পাচনতন্ত্র সর্বোত্তমভাবে কাজ করে।
এস/কেবি